monitor
ELITE MEMBER
- Joined
- Apr 24, 2007
- Messages
- 8,570
- Reaction score
- 7
- Country
- Location
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানী এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। মাকে নিয়ে ৬ মাসের ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিল ভুক্তভোগী ঐ কিশোরী ।এ ঘটনায় বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিসা নিয়ে মায়ের সাথে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে সেখানে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি আরো জানান, গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। তিনি উঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে উঠার পর থেকেই তার স্বামীর বড় ভাই আবুল হোসেনের ছেলে আল আমীন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে এলাকায় বখাটে বলে পরিচিত আল আমীন ক্ষুব্ধ হয়।
মরিয়া হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ঐ কিশোরীকে বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে সে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ধর্ষিতার মা জানান, বাবার দেশ দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী কন্যা। এসময় তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
ওসি হাসান আল মামুন এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ ঘটনায় বুধবার রাতে আল আমীনসহ তিনজনকে আসামি করে নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষকের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আল আমীন এবং ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে”।
এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আসলাম উদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে, ধর্ষিতা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় তার জবানবন্দি দেয়া সম্ভব হয়নি”।আস
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিসা নিয়ে মায়ের সাথে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে সেখানে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি আরো জানান, গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। তিনি উঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে উঠার পর থেকেই তার স্বামীর বড় ভাই আবুল হোসেনের ছেলে আল আমীন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে এলাকায় বখাটে বলে পরিচিত আল আমীন ক্ষুব্ধ হয়।
মরিয়া হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় ঐ কিশোরীকে বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে সে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ধর্ষিতার মা জানান, বাবার দেশ দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী কন্যা। এসময় তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
ওসি হাসান আল মামুন এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ ঘটনায় বুধবার রাতে আল আমীনসহ তিনজনকে আসামি করে নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষকের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আল আমীন এবং ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে”।
এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আসলাম উদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে, ধর্ষিতা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় তার জবানবন্দি দেয়া সম্ভব হয়নি”।আস
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে