Riyad
FULL MEMBER
- Joined
- Jul 30, 2015
- Messages
- 1,525
- Reaction score
- -5
- Country
- Location
কোচবিহার থেকে যেভাবে রংপুরের বাসিন্দা হলেন এরশাদ
গোলাম মোস্তফা আনছারী, রংপুর
১০:১১, ১৪ জুলাই, ২০১৯
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা মকবুল হোসেনকে কোচবিহার ছাড়ার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ভারতের চিফ কমিশনার।
মকবুল হোসেন তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন রংপুরে। অপর বহিষ্কৃতরা পরে কোচবিহারে ফিরলেও মকবুল হোসেন তার ছেলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে থেকে যান রংপুরেই। ১৯৫০ সালে ক্রয় সূত্রে ঠিকানা হন রংপুর মহানগরীর নিউ সেনপাড়ায় বর্তমান (স্কাইভিউ) বাড়িতে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী। তিনি রংপুরের আদালতে শুরু করেন আইন পেশা।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা মকবুল হোসেন ছিলেন দিনহাটা আদালতের আইনজীবী। মা গৃহবধূ। ভারতের কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা তিনি। কোচবিহার ছিল মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর শাসিত করদ মিত্ররাজ্য।ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালে মহারাজা ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে কোচবিহারের শাসন ব্যবস্থা একজন চিফ কমিশনারের হাতে ন্যস্ত করা হয়। চিফ কমিশনার নিযুক্ত হন ভিআই নান্নাজাপ্পা।১৯৫০ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয় কোচবিহার। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম জোতদারদের সমন্বয়ে গঠিত কোচবিহার স্টেট কাউন্সিলের সভায় মতবিরোধ তৈরি হয় ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে। কাউন্সিলের প্রায় সব সদস্য পাকিস্তানের সঙ্গে যোগদানের পক্ষে অবস্থান নিলেও একজন হিন্দু সদস্য বিরোধিতা করেন। মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের পক্ষে অবস্থান নেন। ওই সময়ে স্টেট কাউন্সিলের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ‘হিতসাধনা সভা’ কোচবিহারের প্রতিটি থানায় সভা-সমিতির মাধ্যমে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালাতে থাকে।
মুসলিম সদস্যরা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে এরশাদের বাবা দিনহাটা আদালতের আইনজীবী মকবুল হোসেনকেও কোচবিহার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অবশ্য তার কয়েক বছর আগে ১৯৪৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নের জন্য রংপুরে এসেছিলেন এরশাদ। তার তখন গ্রাজুয়েশন শেষ পর্যায়ে। থাকতেন কারমাইকেল কলেজের জিএল হোস্টেলে। আরও আগে থেকে রংপুরে থাকতেন তার বড় বোন নাহার ও ভগ্নিপতি সিরাজুল হক। ভগ্নিপতি ছিলেন ইন্সপেক্টর অব স্কুর্লস।
এইচএম এরশাদ রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
(সূত্র: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবনী গ্রন্থ ‘আমার কর্ম আমার জীবন’)
https://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/70940/কোচবিহার-থেকে-যেভাবে-রংপুরের-বাসিন্দা-হলেন-এরশাদ
Ershad became a resident of Rangpur from Koch Bihar, India
Ghulam Mostafa Ansari, Rangpur 5:19, 3 July, 20
India's chief commissioner tied up with former president Jatiya Party chairman and Jatiya Sangsad opposition leader Hussein Muhammad Ershad's father, Mokbul Hossain, in a 24-hour period to leave Koch Bihar.
Maqbool Hossain brought his wife and children to Rangpur. The other expatriates later returned to Koch Bihar but Maqbool Hossain took his son Hussein Muhammad Ershad to Rangpur. In 1, the source of the purchase was addressed to the present house in New Senepara of Rangpur metropolis. Hussein Muhammad Ershad's father was a lawyer by profession. He started his legal career in Rangpur court.
Hussein Muhammad Ershad's father Maqbool Hossain was a lawyer at Dinhata court. Mother housewife He is a resident of Koch Bihar, India. Koch Bihar was the Allied Empire ruled by Maharaja Jagadipendra Narayan Bhupabhadur. After the independence of the year, the rule of the Kochi Bihar was handed over to the Chief Commissioner by the agreement signed between the Maharaja and the Government of India in the year. VI Nannajappa was appointed as the Chief Commissioner.
Koch Bihar became a district in West Bengal, India. Disagreements arose at a meeting of the Kochi Bihar State Council, comprised of local Hindu-Muslim jotadars, about joining the Indian Union. While almost all members of the council were in favor of joining Pakistan, one Hindu member opposed. Maharaja Jagadipendra Narayan Bhupabhadur took the stand to join the Indian Union. At that time, 'Hitasadhana Sabha', consisting of members of the State Council, started campaigning against India through a meeting in each of the police stations in Koch Bihar.
Muslim members joined the movement to join Pakistan. In that case, Ershad's father Dinhata court lawyer Mokbul Hossain, along with several others, was also expelled from Koch Bihar.
However, some years before that, Ershad came to Rangpur to study high school in 9 years. At the end of his graduation. He lived in the GL hostel of Carmichael College. Further, his elder sister Nahar and brother-in-law Sirajul Haque lived in Rangpur. The brother-in-law was the Inspector of Skurls.
HM Ershad died while undergoing treatment at the Combined Military Hospital (CMH) at 9am on Sunday morning.
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা মকবুল হোসেনকে কোচবিহার ছাড়ার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ভারতের চিফ কমিশনার।
মকবুল হোসেন তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন রংপুরে। অপর বহিষ্কৃতরা পরে কোচবিহারে ফিরলেও মকবুল হোসেন তার ছেলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে থেকে যান রংপুরেই। ১৯৫০ সালে ক্রয় সূত্রে ঠিকানা হন রংপুর মহানগরীর নিউ সেনপাড়ায় বর্তমান (স্কাইভিউ) বাড়িতে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী। তিনি রংপুরের আদালতে শুরু করেন আইন পেশা।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা মকবুল হোসেন ছিলেন দিনহাটা আদালতের আইনজীবী। মা গৃহবধূ। ভারতের কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা তিনি। কোচবিহার ছিল মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর শাসিত করদ মিত্ররাজ্য।ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালে মহারাজা ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে কোচবিহারের শাসন ব্যবস্থা একজন চিফ কমিশনারের হাতে ন্যস্ত করা হয়। চিফ কমিশনার নিযুক্ত হন ভিআই নান্নাজাপ্পা।১৯৫০ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয় কোচবিহার। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম জোতদারদের সমন্বয়ে গঠিত কোচবিহার স্টেট কাউন্সিলের সভায় মতবিরোধ তৈরি হয় ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে। কাউন্সিলের প্রায় সব সদস্য পাকিস্তানের সঙ্গে যোগদানের পক্ষে অবস্থান নিলেও একজন হিন্দু সদস্য বিরোধিতা করেন। মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের পক্ষে অবস্থান নেন। ওই সময়ে স্টেট কাউন্সিলের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ‘হিতসাধনা সভা’ কোচবিহারের প্রতিটি থানায় সভা-সমিতির মাধ্যমে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালাতে থাকে।
মুসলিম সদস্যরা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে এরশাদের বাবা দিনহাটা আদালতের আইনজীবী মকবুল হোসেনকেও কোচবিহার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অবশ্য তার কয়েক বছর আগে ১৯৪৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নের জন্য রংপুরে এসেছিলেন এরশাদ। তার তখন গ্রাজুয়েশন শেষ পর্যায়ে। থাকতেন কারমাইকেল কলেজের জিএল হোস্টেলে। আরও আগে থেকে রংপুরে থাকতেন তার বড় বোন নাহার ও ভগ্নিপতি সিরাজুল হক। ভগ্নিপতি ছিলেন ইন্সপেক্টর অব স্কুর্লস।
এইচএম এরশাদ রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
(সূত্র: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবনী গ্রন্থ ‘আমার কর্ম আমার জীবন’)
https://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/70940/কোচবিহার-থেকে-যেভাবে-রংপুরের-বাসিন্দা-হলেন-এরশাদ
Ershad became a resident of Rangpur from Koch Bihar, India
Ghulam Mostafa Ansari, Rangpur 5:19, 3 July, 20
India's chief commissioner tied up with former president Jatiya Party chairman and Jatiya Sangsad opposition leader Hussein Muhammad Ershad's father, Mokbul Hossain, in a 24-hour period to leave Koch Bihar.
Maqbool Hossain brought his wife and children to Rangpur. The other expatriates later returned to Koch Bihar but Maqbool Hossain took his son Hussein Muhammad Ershad to Rangpur. In 1, the source of the purchase was addressed to the present house in New Senepara of Rangpur metropolis. Hussein Muhammad Ershad's father was a lawyer by profession. He started his legal career in Rangpur court.
Hussein Muhammad Ershad's father Maqbool Hossain was a lawyer at Dinhata court. Mother housewife He is a resident of Koch Bihar, India. Koch Bihar was the Allied Empire ruled by Maharaja Jagadipendra Narayan Bhupabhadur. After the independence of the year, the rule of the Kochi Bihar was handed over to the Chief Commissioner by the agreement signed between the Maharaja and the Government of India in the year. VI Nannajappa was appointed as the Chief Commissioner.
Koch Bihar became a district in West Bengal, India. Disagreements arose at a meeting of the Kochi Bihar State Council, comprised of local Hindu-Muslim jotadars, about joining the Indian Union. While almost all members of the council were in favor of joining Pakistan, one Hindu member opposed. Maharaja Jagadipendra Narayan Bhupabhadur took the stand to join the Indian Union. At that time, 'Hitasadhana Sabha', consisting of members of the State Council, started campaigning against India through a meeting in each of the police stations in Koch Bihar.
Muslim members joined the movement to join Pakistan. In that case, Ershad's father Dinhata court lawyer Mokbul Hossain, along with several others, was also expelled from Koch Bihar.
However, some years before that, Ershad came to Rangpur to study high school in 9 years. At the end of his graduation. He lived in the GL hostel of Carmichael College. Further, his elder sister Nahar and brother-in-law Sirajul Haque lived in Rangpur. The brother-in-law was the Inspector of Skurls.
HM Ershad died while undergoing treatment at the Combined Military Hospital (CMH) at 9am on Sunday morning.