যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত, পদত্যাগ করতে পারেন হাসিনা!
বাংলাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক ইস্যুতে বড় ধরনের কূটনীতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় পড়তে যাচ্ছে ভারত। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ভারত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে বিরোধী দলের দাবি মেনে নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ভারতকে এরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। রোববার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় আলোচক ভারতীয় আলোচকদের এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো শূন্যস্থান রাখতে চাননি, যাতে তৃতীয় শক্তির ক্ষমতা দখলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর নির্বাচন করার মাধ্যমে তিনি চেয়েছেন যাতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও পূরণ হয়। শেখ হাসিনার কাছ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তার দল আবারও নির্বাচন দিতে সম্মত হবে, যদি এই নির্বাচনের পর সংলাপে কোনো ফল পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নির্বাচনের পর বাংলাদেশ যাতে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার মুখে না পড়ে, সেজন্য ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এজন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ও বিভিন্ন ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে ভারত।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ছাড়াই রোববার বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ১৪৬টি আসনে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন আবার ক্ষমতায় এলে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন নিয়ে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন তুলেছেন। বিশ্ব মিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করেছে। ফলে নয়াদিল্লির ভয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশ শেখ হাসিনার নতুন সরকারকে অনুমোদন না-ও করতে পারে, যা সরকারকে বিপাকে ফেলবে। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ঠিক একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, যেখানে হাসিনা খালেদার অবস্থানে ছিলেন। তখন বড় কোনো শক্তি মারাত্মক উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তবে সে সময় গণ-আন্দোলনে খালেদা সরকারের পতন হয়।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা একাধিক বৈঠক করেছেন। এর একপর্যায়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও ভারত সফর করেন। তবে দুই দেশের মতপার্থক্যের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী, যারা বিএনপির প্রধান মিত্র। সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জামায়াতের ব্যাপারে অনেক বেশি ইতিবাচক। এমনকি তারা এই বার্তাও বহন করেন যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি বৈধ ইসলামী দল হিসেবে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু জামায়াতকে ভারত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় আলোচকরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে জামায়াতের কাছ থেকেও সরে আসতে বলেছিলেন। ভারতের প্রস্তাবে কখনই সম্মতি দেননি খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় বাংলাদেশে নির্বাচন শেষে ভারত এখন বাংলাদেশ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় আলোচনা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে, যে রাষ্ট্রটির হাতে রয়েছে চাবিকাঠি। এ ছাড়া কমনওয়েলথসহ অন্যান্য ফোরামেও আলোচনা করতে যাচ্ছে। ভারত বর্তমানে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুপরও সদস্য, যার ক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়ায় বাধা দিতে।
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও জনগণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন না হলে দেশ কোথায় যেত? দেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ত। এখন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। বিএনপির দাবি, একদলীয় নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছেন, ঘৃণাভরে ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। নির্বাচন হয়ে গেলেও বিরোধী জোটের কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে আজ সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল যোগ করেছে তারা। এই নির্বাচনে ভোট দেননি প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া ও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দলের নেতা এরশাদ। কারণ, তাঁরা গৃহ বা হাসপাতালবন্দি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে ভোট দেননি দেশের আরও অসংখ্য মানুষ। কারণ, তাঁরা বিবেকের কাছে বন্দি। সংসদ নির্বাচনের নামে পৃথিবীর ইতিহাসে অভূতপূর্ব এই নির্বাচনী তামাশা তবু নীরবে সহ্য করতে হয়েছে মানুষকে।
ভোট সহিংসতায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ জনসহ নিহত ২৪
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার ও শনিবার মধ্যরাতের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট কেন্দ্রে হামলা, সহিংসতা, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ জন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। বাকিরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এসব জেলায় ৪ জন করে মোট ১২ জন মারা গেছেন। এছাড়া রংপুর ও ফেনীতে দুজন নিহত হয়। লালমনিরহাট, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, নওগাঁ, নোয়াখালী ও গাইবান্ধায় ১ জন করে নিহত হয়।সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সরকারি দলের প্রার্থীদের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখল করে নেন। এর প্রতিবাদে প্রায় ৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। বর্জনকারীদের অধিকাংশই জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির ডা. ফরিদ আহমেদ ভোট দিতে গিয়ে দেখেন তার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। প্রতিবাদে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
দিনাজপুর:নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার তিনটি ঘটনায় দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে তিনজন এবং দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে একজন মারা গেছেন।
পার্বতীপুরের উত্তর শালন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পবন কুমার সরকার জানান, গতকাল ভোট শুরুর পর সকাল ৯টা থেকে দুর্বৃত্তরা ওই কেন্দ্রে হামলা চালায়। একের পর এক হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে কর্মরত ওয়াহেদ আলী নামে এক আনসার সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা। হামলায় প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশসহ ৩২ জন আহত হয়। প্রিজাইডিং অফিসার জানান, এ ঘটনার পর তারা আত্মরক্ষার্থে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। ফলে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, উপজেলার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
অপরদিকে গতকাল দুপুরে পার্বতীপুর মন্মথপুর কোঅপারেটিভ হাইস্কুল কেন্দ্রে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা যৌথ বাহিনীর উপর হামলা করলে তারা পাল্টা গুলি করে। এতে পার্বতীপুর জাগপার যুগ্ম আহ্বায়ক রাইহান মাসুদ (২৪) মারা যান। মন্মথপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর গ্রামের বৈষ্ণবপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে গতকাল বেলা ২টার দিকে বিএনপি কর্মী চুন্নুর (৩০) গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তবে কার গুলিতে তিনি মারা গেছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।
এর আগে শনিবার রাতে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে সদর উপজেলার নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ১৮ দল ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে বাবুল (২৮) নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিতে নিহত হয়।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের নুরুল্ল্যাবাদ ইউনিয়নের রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল ভোটদানে বাধাদানকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর সাথে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনী গুলি ছুঁড়লে ৮ জন আহত হন। এর মধ্যে বাবুল হোসেন (৩৫) নামে একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
রংপুর-৪ আসনে পীরগাছার মেকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে রবিবার গভীর রাতে ভোটের সরঞ্জাম ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ করতে গেলে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। এসময় পুলিশের গুলিতে শিবির কর্মী হাজিউজ্জামান (১৪) ও জামায়াত কর্মী মেরাজুল ইসলাম (৩৫) নিহত হয়। সংঘর্ষে ১০ প্রিজাইডিং অফিসারসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাছে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টাকালে ছাত্রদল নেতা কঙ্কন মিয়া (২৩) নিহত হয়েছে। আব্দুল হক মাস্টারের ছেলে কঙ্কন মিয়া কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউপি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। পুলিশ জানায়, কঙ্কন শিমুলিয়া ভোট কেন্দ্রে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে গেলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে ধাওয়া করলে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে পুকুর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় সে মারা যায়।
ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল সকালে ভোট চলাকালে ভোটবিরোধীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে বিএনপির ৩ কর্মী গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে জামশেদ আলমকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অপর ২ জনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুর ১২ টার দিকে শহীদ উল্লাহ মারা যান।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা শ্রীরামপুর, বুড়িমারী, কুচলীবাড়ী ও জগতবেড় ইউনিয়নের ৫ টি ভোট কেন্দ্রে হামলা, অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ায় ২ নং ভান্ডারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রায় ৩ ঘন্টা স্থগিত রাখে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ জন আনসার সদস্যসহ ৩ জন আহত হয়। শনিবারে বাউরা সফিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফারুক হোসেন (৩০) রংপুরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে নিহত হয়েছেন। এদিকে গতকাল সকালে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড সভাপতি মোবারক হোসেন নিহত হন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শিবিরকর্মীরা বেশ কয়েকটি ব্যালট বাক্স লুট করেছে। গতকাল দুপুরে পুলিশের গুলিতে চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় রুবেল নামে এক শিবির কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহতসহ আহত হয়েছে ২ শিবির কর্মী। জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের ফলে দফায় দফায় ভোট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
এই আসনের পানিওয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়, কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিশ্চর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের কমলনগর উপজেলার পশ্চিম চরলরেন্স মহিলা দাখিল মাদ্রাসাসহ ৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
সিলেট-৪ আসনের কোমপানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল পুলিশের সাথে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শট গানের ২৪টি গুলি ও ১টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় একজন পোলিং এজেন্ট আহত হন।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে ভোট গ্রহণ চলাকালে গতকাল দুপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা চর নবীপুর ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ২টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের ৫টি বুথ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের হটিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়।
শেরপুর পৌর এলাকার দিঘারপাড় বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, ব্যালট বাক্স ও বেশ কিছু ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীদের আক্রমণে কর্তব্যরত এএসআই নূর আলম গুরুতর আহত হন। ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে।
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) ও খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী থানা) আসনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত ও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী রাশিদা করিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান খান খোকন।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গোলযোগের মধ্যদিয়ে গতকাল ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় এক শিবির কর্মী নিহত ও আনসার সদস্যসহ অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। সাতকানিয়ায় ভোট কেন্দ্রে হামলা করে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও প্রিজাইডিং অফিসারসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। সীতাকুণ্ডের রহমতনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের বিবস্ত্র করার পর ওই কেন্দ্রে আর ভোটারদের ভোট প্রদান করতে দেখা যায়নি।
বড় হাতিয়া ভবনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গিয়ে বিজিবির গুলিতে মিজানুর রহমান লালু (২২) নামে এক শিবির কর্মী নিহত হন। চুনতি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ককটেল বিস্ফোরণে হালিমা খাতুন নামে এক আনসার সদস্য আহত হয়। একই কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কলাউজান খালাসীপাড়া কেন্দ্রে সোনা মিয়া (৫৬) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়। সাতকানিয়ায় দুপুর একটার দিকে শতাধিক দুর্বৃত্ত ঢেমশা বড়ুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট শামসুল ইসলাম, প্রিজাইডিং অফিসার মো. জামাল উদ্দিনসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তারা ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনের সরঞ্জাম ছিনতাই এবং কেন্দ্রে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সাথে ১৮ দলীয় জোট কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে ব্যাপক জাল ভোট আর কারচুপির মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১০টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় সবকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নেতা-কর্মীরা ব্যাপকহারে জাল ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাটায় গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগ ও ১৮ দলের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হন।
বরগুনা-১ আসনের বিএনএফ সমর্থিত প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান দুপুরে আমতলী এ, কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করে নৌকা মার্কার সমর্থকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমতলী বন্দর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোরগ মার্কার এজেন্ট জুয়েল মৃধাকে নৌকার সমর্থকরা মারধর করে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুমিল্লা: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সহিংসতায় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
ব্রা?হ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ডা. ফরিদ আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন যে তার ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে এই কারণে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন। পরে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানোর পরেও প্রতিকার না পেয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আমীরুল ইসলাম আমীর নির্বাচন বর্জন করেন। দুপুরে উপজেলা সদরের ওছখালী বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ ও আমার ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদান করা হচ্ছে। এ কারণে ভোট বর্জন করেছি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হরতালকারীদের ধাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকের চাপায় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে একজন মারা যায়।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে দুপুর ১টার দিকে নেওয়াশী ইউনিয়নের ঘরজেয়াটারী ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ১৮ দল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হন।
ঘরজেয়াটারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রোস্তম আলী (৫০), ইউপি সদস্য ফরিদা বেগম (৩০) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮) আহত হয়। এর মধ্যে রোস্তম আলীর অবস্থা আশংকাজনক।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ৫টি ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় ২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মহেশপুর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া, কোলা, রামচন্দ্রপুর, নওদাগা ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ায় এবং সামন্তা ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার।
জামালপুর: জামালপুরে ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে ৫টি ভোট কেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ, হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১০ জন।
বরিশাল-২ আসনের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা ভোট কেন্দ্রের সন্নিকটে গতকাল দুপুরে দু’দল ভোটারের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। একইদিন বিকালে বরিশাল-৩ আসনের আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল ভোট কেন্দ্রের সন্নিকটে জাতীয় পার্টির (এ) প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে।
বিকাল ৩টার দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বরিশাল-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপুর সমর্থক বাদল মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আহত করা হয় প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী টিপু সুলতানের ৫ জন সমর্থককে।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ৪টি আসনের ৪৬৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২০১ টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা-০১ সুন্দরগঞ্জ আসনে ৪৭টি, গাইবান্ধা-০২ সদরে ১২টি, গাইবান্ধা-০৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সাদুল্লাপুরে ২৫ টি ও পলাশবাড়ীতে ৫৩ টি এবং গাইবান্ধা-০৪ গোবিন্দগঞ্জে ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষে এক শিবির কর্মী নিহত, একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিখোঁজ রয়েছেন ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। নিহত শাহাবুল ইসলাম তারা (২৮) উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের খিজির উদ্দিনের ছেলে।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে রবিবার ভোরে ৪০/৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত বানিয়াচঙ্গ উপজেলার রেদোয়ানা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রবেশ করে দায়িত্বরত পুলিশ আনসারকে মারধর করে। তারা ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়। এসময় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার গোপাল দাশ, আনসার হাবিজুর রহমান, আবু তাহের আহত হন। ফলে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়নি। আগের দিন রাতে একই উপজেলার তোপখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হলে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স পুড়ে যায়। ফলে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়নি।
গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে চৌধুরী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪টি পেট্রোল বোমা বিস্ফোরিত হয়। এসময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে কমল (২৪) নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার লুট করতে গিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জামায়াতের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ওই আসনের ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ব্যাপারীতলা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দুর্বৃত্ত কর্তৃক ভোট কেন্দ্রে হামলা, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) ৯টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুপুরে ডিমলা নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীচতলায় আগুন দেয়া হয়। ডিমলা উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে জামায়াত শিবির হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ওইসব কেন্দ্রের ঘর, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭ জন আনসার সদস্য, ৮ পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন আহত হয়। ঐ ১০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থকরা ঐ আসনে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রহিম খান ও এসএম মনিরুল হকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ পৌরসভার কৃষি ব্যাংক রোড ও কলেজ রোডে পৃথক এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের প্রহারে আব্দুর রহিম খানের গাড়িচালক মো: ইসাহাক (৪৫) ও তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী আল আমিন (৩০) সহ অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে আব্দুর রহিম খানের ভাই আব্দুল হাই খান তার বৈধ বন্দুক দিয়ে অন্তত পনের রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন বলে জানা যায়।
পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে গতকাল ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ঘোপখালী ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই কালে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করে। এছাড়া খাসের হাট ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের শেষ মুহূর্তে চারটি পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়।
জরুরি অবস্থা জারির চিন্তাভাবনা/ State of emergency imposed thinking /
Bangla Version : বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পর্যবেক্ষণ করবে সরকার। এই হরতাল কর্মসূচিতে সহিংসতা হলে এবং এরপর আবারো হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহল নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা গত কয়েকদিন ধরে বলে আসছিলেন, নির্বাচনের পর সরকার আরো কঠোর হবে। কঠোর হাতে দমন করবে বিরোধীদলকে। তারই প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে।
সূত্রমতে, জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হবে। তারপরও যদি বিরোধীদল কোনো কর্মসূচি ঘোষণা বা পরিচালনার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীদের গণহারে গ্রেফতার করা হবে। দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান বা স্বাভাবিক করার অজুহাতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
English Version : BNP - Jamaat -led 18- party government in the last 48 hours of the strike would be monitored . If this strikes violence program and then again when the emergency shutdown might be announced . Top sources say the government has agreed in principle to a reliable source .The Awami League leader - had to say netrira over the past few days , after the election, the government will be more stringent . Will clamp the opposition . State of emergency imposed in the preparation of recompense is going to happen .According to sources , the state of emergency imposed a ban on all political activities . Even if the opposition is trying to run a program or opposition leaders - leaders will be arrested en masse . Termination of the current unrest in the country has taken or plans to plea to normal .