undefined | The Financial Express
thefinancialexpress.com.bd
কালো টাকার পরিমাণ ১০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে!
এফই অনলাইন প্রতিবেদন | Published: September 05, 2021 09:15:03 | Updated: September 05, 2021 16:16:29
দেশে কালো টাকার পরিমাণ গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে অনুমান করা হচ্ছে।
দেশি-বিদেশি একাধিক অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের কালো বা ছায়া অর্থনীতির আয়তন আনুষ্ঠানিক ও প্রকাশ্য অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ বলে বিভিন্ন সময়ে যে সূত্র দিয়েছেন, সেটির ভিত্তিতে এ হিসেব কষা হয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাতের মতে, বাজারমূল্যে বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৩ দশমিক শতাংশ হলো বাংলাদেশের কালো অর্থনীতির তথা কালো টাকার পরিমাণ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাক্কলন অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজারমূল্যে জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। এর ৩৩ দশমিক ৩০ শতাংশের অর্থমূল্য দাঁড়ায় ১০ লাখ তিন হাজার কোটি টাকা।
তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজারমূল্যে জিডিপি ছিল ২৭ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। ফলে সে বছর দেশে কালো টাকার পরিমাণ ছিল নয় লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা।
অধ্যাপক বারকাত তাঁর ‘বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র: ভাইরাসের মহাবিপরযয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে’ শীর্ষক বিশালায়তন বইয়ে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি কালো টাকার ওপরও আলোকপাত করেছেন।
এ বছর প্রকাশিত এই বইতে তিনি বিভিন্ন সময়ে কালোটাকা নিয়ে তাঁর গবেষণা ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বাজারমূল্যে জিডিপির ২০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ ধরে কালো টাকার পরিমাণের একটি বিস্তারিত সারণি দিয়েছেন। এতে ১৯৭২-৭৩ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তথা ৪৮ বছরের কালো টাকার অনুমিত হিসেব দেয়া হয়েছে। সেটার সূত্র ধরে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের কালো টাকার পরিমাণ হিসেব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কালো টাকা বলতে সাধারণত অবৈধভাবে ও কর ফাঁকি দিয়ে অর্জিত টাকাকে বোঝানো হয়। আবুল বারকাতের মতে, “কালো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হলো সেসব লেনদেন যা দেশের প্রচলিত নিয়মকানুন অনুযায়ী বিধিসাপেক্ষ নয়।… কালো অর্থনীতির লেনদেন অনিয়ন্ত্রিত, কালো অর্থনীতির লেনদেন করারোপিত নয় এবং কালো অর্থনীতির লেনদেন পরিমাপ করা হয় না কারণ ঐসব লেনদেন নথিভুক্ত নয়।” (পৃ-৪৭৭)
অর্থনীতিবিদরা একে ছায়াচ্ছন্ন অর্থনীতি, লুকায়িত অর্থনীতি, সমান্তরাল অর্থনীতি এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি নামেও অভিহিত করেছেন।
আবার ২০১৭ সালে ড. ফ্রেডরিখ স্নাইডার ও লিওনাদ্রো মেডিনা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) জন্য একটি কার্যপত্র প্রস্তুত করেছিলেন। সেখানে তাঁরা ১৯৯১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ১৫৮টি দেশের ছায়াচ্ছন্ন অর্থনীতির (শ্যাডো ইকোনমি) একটি হিসেব দিয়েছিলেন।
তাতে বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশের কালো অর্থনীতি বৈশ্বিক গড় হারের বা জিডিপির ৩০ শতাংশের বেশি বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৯ সালে এই দুই অর্থনীতিবিদ তাঁদের সেই কাজটির তথ্য-উপাত্ত হালনাগাদ করেন। তাতে দেখানো হয় যে বাংলাদেশে কালো টাকার গড় হার বাজারমূল্যে জিডিপির ৩৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
asjadulk@gmail.com
Below is the unedited google translation:
The amount of black money has exceeded 10 lakh crore!
FE Online Report | Published: September 05, 2021 09:15:03 Updated: September 05, 2021 16:16:29
The amount of black money has exceeded 10 lakh crore!
The amount of black money in the country is estimated to have exceeded Tk 10 lakh crore in the last fiscal year 2020-21.
This calculation has been made on the basis of the formula given by several local and foreign economists at different times that the size of the black or shadow economy of Bangladesh is one-third of the formal and public economy.
According to Professor Abul Barkat, President of the Bangladesh Economic Association, 33% of the annual gross domestic product (GDP) at market value is the amount of black money in the black economy of Bangladesh.
According to the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) estimates, the market value of GDP in the fiscal year 2020-21 stands at Tk 30 lakh 12 thousand crore. The value of 33.30 percent of it stands at 10 lakh three thousand crore rupees.
In the previous year i.e. 2019-20 financial year, the market value of GDP was 26 lakh 40 thousand crore. As a result, the amount of black money in the country that year was nine lakh 12 thousand crore rupees.
Professor Barkat has shed light on various topics as well as black money in his huge book titled 'Socio-Economy-State on the big screen: In search of a better Bangladesh from the catastrophe of the virus'.
In this book published this year, he has given a detailed table of the amount of black money at 20 per cent, 25 per cent, 30 per cent and 33 per cent of the market value based on his research and analysis on black money at different times. It gives an estimated estimate of black money from 1982-83 to 2018-19 fiscal year i.e. 48 years. Based on that, the amount of black money for the fiscal years 2019-20 and 2020-21 has been calculated.
Note that black money usually refers to money earned illegally and through tax evasion. According to Abul Barkat, "Black economic activities are those transactions which are not legal according to the prevailing rules of the country. The transactions of the black economy are unregulated, the transactions of the black economy are not taxable and the transactions of the black economy are not measured because those transactions are not recorded." (P. 46)
Economists also call it the shadow economy, the hidden economy, the parallel economy, and the informal economy.
Again in 2016. Friedrich Snyder and Leonadro Medina prepared a working paper for the International Monetary Fund (IMF). There they gave an account of the shadow economies of 156 countries from 1991 to 2015.
It states that the black economies of 31 countries, including Bangladesh, account for more than 30 percent of the global average GDP.
In 2019, these two economists updated the data of their work. It shows that the average rate of black money in Bangladesh is 33.10 percent of GDP at market price.
asjadulk@gmail.com