Banglar Bir
SENIOR MEMBER
- Joined
- Mar 19, 2006
- Messages
- 7,805
- Reaction score
- -3
- Country
- Location
মূলধারা বাংলাদেশ
28 August
রোহিঙ্গাদের যারা সাহায্য করতে চান
আধুনিক জাতি রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তির যদি নাগরিকত্ব না থাকে কি দুর্দশা হয় রোহিঙ্গারা তার উজ্জ্বল প্রমাণ। শত শত বছর সেখানে বসবাস করার পরও নাকি তাঁরা বার্মার নাগরিক নয়।
মায়ানমারের দাবী হচ্ছে রোহিঙ্গারা বাঙালি এবং তাঁরা 'অবৈধ বাংলাদেশী'।রোহিঙ্গাদেরকে নির্যাতন করা হলে বাংলাদেশে চলে আসবে এটাই তাঁদের প্রত্যাশা।
একই দাবী করা হয় ভারতের আসাম রাজ্যে। সেখানেও বাংলাভাষীদের 'অবৈধ বাংলাদেশী' বলে নির্যাতন করা হয়। তাঁরা মাটি কামড়ে সেখানে পরে আছে বিধায় এবং বাংলাদেশে আসেনা বলে আমরা বুঝতে পারিনা। যাই হোক, আমরা বাংলাদেশীরা যদি সত্যেই রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে চাই তাহলে খাদ্য, শেল্টার, নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করা জরুরী।
এইড এজেন্সী এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও সংগঠন বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার যাতে বাঁধা না দেয় সেজন্য আমরা ক্যাম্পেইন করতে পারি। রাষ্ট্র পর্যায়ে সরকারের কাজ সরকার করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গারা যে বার্মার নাগরিক সেটা প্রমাণ করতে বার্মার প্রচলিত ন্যারেটিভসকে চ্যালেঞ্জ করা জরুরী। এক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবীদের পক্ষেই এটা করা সম্ভব। বাঙালি রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস জানা এক্ষেত্রে দরকারী।
এই বিষয়ে ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এর লেখা 'আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস' বইটি একটি প্রামাণ্য দলিল। এর সাথে আগ্রহীরা লেখক এন এম হাবিবুল্লাহ'র 'রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস' বইটিও পড়তে পারেন। দুটো বইই আমাদের পিডিএফ সেকশনে পাবেন। দেখুন; https://goo.gl/PvHrEx
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ কর্তৃক দেশভাগের পর থেকেই এই সমস্যার সৃষ্টি।আরাকান বাংলাদেশের অংশ হতে পারত। কিন্তু আমাদের নেতাদের অদূরদর্শীতার কারণে আমরা কলকাতা যেমন হারিয়েছি, হারিয়েছি আরাকানও। যার ফলাফল বয়ে বেড়াচ্ছে এই নিরীহ রোহিঙ্গারা।
goo.gl
28 August
রোহিঙ্গাদের যারা সাহায্য করতে চান
আধুনিক জাতি রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তির যদি নাগরিকত্ব না থাকে কি দুর্দশা হয় রোহিঙ্গারা তার উজ্জ্বল প্রমাণ। শত শত বছর সেখানে বসবাস করার পরও নাকি তাঁরা বার্মার নাগরিক নয়।
মায়ানমারের দাবী হচ্ছে রোহিঙ্গারা বাঙালি এবং তাঁরা 'অবৈধ বাংলাদেশী'।রোহিঙ্গাদেরকে নির্যাতন করা হলে বাংলাদেশে চলে আসবে এটাই তাঁদের প্রত্যাশা।
একই দাবী করা হয় ভারতের আসাম রাজ্যে। সেখানেও বাংলাভাষীদের 'অবৈধ বাংলাদেশী' বলে নির্যাতন করা হয়। তাঁরা মাটি কামড়ে সেখানে পরে আছে বিধায় এবং বাংলাদেশে আসেনা বলে আমরা বুঝতে পারিনা। যাই হোক, আমরা বাংলাদেশীরা যদি সত্যেই রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে চাই তাহলে খাদ্য, শেল্টার, নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করা জরুরী।
এইড এজেন্সী এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও সংগঠন বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার যাতে বাঁধা না দেয় সেজন্য আমরা ক্যাম্পেইন করতে পারি। রাষ্ট্র পর্যায়ে সরকারের কাজ সরকার করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গারা যে বার্মার নাগরিক সেটা প্রমাণ করতে বার্মার প্রচলিত ন্যারেটিভসকে চ্যালেঞ্জ করা জরুরী। এক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবীদের পক্ষেই এটা করা সম্ভব। বাঙালি রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস জানা এক্ষেত্রে দরকারী।
এই বিষয়ে ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ এর লেখা 'আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস' বইটি একটি প্রামাণ্য দলিল। এর সাথে আগ্রহীরা লেখক এন এম হাবিবুল্লাহ'র 'রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস' বইটিও পড়তে পারেন। দুটো বইই আমাদের পিডিএফ সেকশনে পাবেন। দেখুন; https://goo.gl/PvHrEx
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ কর্তৃক দেশভাগের পর থেকেই এই সমস্যার সৃষ্টি।আরাকান বাংলাদেশের অংশ হতে পারত। কিন্তু আমাদের নেতাদের অদূরদর্শীতার কারণে আমরা কলকাতা যেমন হারিয়েছি, হারিয়েছি আরাকানও। যার ফলাফল বয়ে বেড়াচ্ছে এই নিরীহ রোহিঙ্গারা।
goo.gl