What's new

Anti-Islamist blogger killed in Bangladesh violence

Status
Not open for further replies.
Some personal notes , should have contributed more
but so many stuffs to do and so much chaos around
does make things a tad bit jittery.

Knew him few years back while he was in Architect Inans
Office, extremely shy and soft spoken. At most a gentle smile
occasionally, it's really hard for me to believe he's the author
of a blog like nuranichapa. His actual Facebook ID is not Thaba Baba
but has Rajib in it(won't share the real one for personal reasons,
search yourself). The gf theory is totally bogus, couple was as sweet
as any other or atleast that's what I saw in real life.

It seems the wordpress site has been modified even on the 16th of Feb,
a simple traffic analytics will show the truth. Obviously a dead person
doesn't check out his blog.

Truth in this country is hard to understand but I can only ask others
to base their conclusions after some thoughts.

Adios

so your first point is he is not thaba baba??

Then who is he?? What was his blogging nick?? May i know??

If the answer is "thaba baba" i can show that wordpress site is not the only site, he used to write in many other blogs....
( that wordpress site is only the collection of his posts that he used to publish in different blogs, i dont know who made this....But anyone who is regular in blogging community knows those posts were first published by Thaba baba in Nagorik blog, he had problems with NAGORIK blog, later he deleted all his posts from there and moved to AMAR blog)

http://www.amarblog.com/blogs/thaba

here is the report on a local chittagong daily....

ধর্মীয় ইস্যুতে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরির

p_001.jpg


--------------------------------------------------------------------------------


This conversation regarding that news published in Azadi took place between thaba and omi rahman pial--------------


থাবা বাবা

মামা, একটু ডিস্টার্ব করুম...

2:13am
Omi Rahman Pial

শিউর মামা, কিসের ডিস্টার্ব, আপনাগো লাইগা জান হাজির

2:14am
থাবা বাবা

ধর্মীয় ইস্যুতে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরির

এই আকামতা কার?

মাহমুদ মনি

এর করা রিপোর্ট

আপনার ধারনা থাকলে বইলেন

আলাদা কষ্ট করার দরকার নাই!

জাস্ট কৌতুহল...

2:15am
Omi Rahman Pial

মাহমুদ মনিরে তো আমি চিনি, আমার ছাত্র ছিলো। দাড়ান দেইখা নেই

2:16am
থাবা বাবা

ওকে মামা!

2:17am
Omi Rahman Pial

হুমম, এইটা দৈনিক আজাদীতে ছাপা হইছে, চিটাগাংয়ে। ডোন্ট বদার পাত্তা দেয়ার মতো কিছু না

2:17am
থাবা বাবা

ওকে মামা... বাট নবী হইয়া ভাব ধরতে হবে কি না ভাবছিলাম...

বাচায় দিলেন

ভাব নিয়ার চেষতা কইরাও পারি নাই!

আমারে দিয়া নবী হওয়ার কাম হবে না!

2:31am
Omi Rahman Pial

গুড নাইট মামা

2:32am
থাবা বাবা

শুভ রাত্রি মামা।

একদিন আড্ডা দিতে আসার ইচ্ছা অনেক দিনের...

পরে জানামু নে

একটু ফ্রী হই তার পর

ঘুমান...

6:33am
থাবা বাবা

এখনো আমার লিস্টে মাইয়া লেফটিস্ট নাই মনে হয়

বাট এথিস্ট কম্যুনিটির আছে বেশ কিছু

এরা এখনো বিরক্ত করে নাই

আনিস্রে চেনেন?

আনিস রায়হান?

6:40am
Omi Rahman Pial

na

6:41am
থাবা বাবা

এই লোক আমার পিছে লাগছে... কে বুঝতাছি না

বাম নিয়া কিছু কইলেই দেখি আইসা হাজির হয়

শেষে লিস্ট থেকে বাদ দিছি

এখদিন শাহবাগে আমার ভেরিমাচ পারসোনাল কয়েকটা ইস্যু নিয়া খুব জোক করলো

সিন ক্রিয়েট হবে বলে কিছু কই নাই

নাগুর মড সম্ভবত!

6:42am
Omi Rahman Pial

valo korsen, ami faka koloshgulare baisa baisa falai, toy asif mama r tar goru parvez ailei godam dei

6:46am
থাবা বাবা

kআমার আঙ্গুল তার পুন্দে ঢুকলো কোন দিক দিয়া ভুঝতাছি না!

6:46am
Omi Rahman Pial

হুমম, মনে পড়ছে, আমারে নিয়া ফাউল পোস্ট লিখছিলো

নাহ নাগুতে মড না

6:46am
থাবা বাবা

এই হালা আবার সাংবাদিক

সে আর তার বউ

আমি জানতাম নাগুর মডু

6:48am
Omi Rahman Pial

নাহ, নাগুতে নয়া মেরুকরণ হইছে মনে হয়। যদ্দূর জানি

6:49am
থাবা বাবা

তাই নাকি?

আমি নাগু ছেরে দিলাম বেশ জকয়েকদিন

টের পাই নাই

সব ব্লগের টেক্সট মুছে দিয়া আসছি

6:49am
Omi Rahman Pial

kon ki!

6:50am
থাবা বাবা

মেজাজ খারাপ হয়ে আছে এই নাগু নিয়া

এমনে একটা ব্লগ চলে না মামা!

6:50am
Omi Rahman Pial

hmm, amar blog theke ber hoiye ora oita khulsilo

6:50am
থাবা বাবা

নাগুর অবস্থা কঠিন

সব মডারেটদের আস্তানা এখন

ঐ ইতিহাস তো জানি মামা

6:54am
Omi Rahman Pial

সেটাই।

6:55am
থাবা বাবা

এখন কয়েকটা আবালের আখড়া হইছে এইটা

7:00am
Omi Rahman Pial

setai

bloger sin emneo sesh

11:53pm
Omi Rahman Pial

মামা বালটার প্রোফাইল লিংক দেন

11:53pm
থাবা বাবা

http://www.facebook.com/raihan.anis

আরেকতা লিঙ্ক দেই মামা...

লম্বা রচনা... বিস্তারি পদেন

বিস্তারিত পাবেন

11:54pm
থাবা বাবা

https://www.facebook.com/photo.php?...51441566700830_1040880969_n.jpg&size=553,1494

11:57pm
Omi Rahman Pial

বিজলি চমকাইতেছে খিয়াল কইরা, হালা দেহি ডায়লগ চুরি করে!

12:00am
থাবা বাবা

হ

জেল খাটা সর্বহারা...

এখন ফ্যাশন চুদাইতে বাম সাজছে!

12:01am
Omi Rahman Pial

12:01am
থাবা বাবা

আজাদীর রিপোর্টের পিছে ও ছিল... অনুমান করি!

12:01am
Omi Rahman Pial

কিজন্য জেল খাটছে? চুরি কইরা না রেপ?

12:02am
থাবা বাবা

সেটা জানি না...

তবে দিক্ষিনের আন্ডারগ্রাউন্ড বাম রাজনীতি করে জেল খেটেছে বলে

অর্থ তো ঐ একতাই দাঁড়ায়

ডাকাতি, খুন নাইলে রেপ... তিনটার একটা হবে!

12:09am
Omi Rahman Pial

আচ্ছা জানা থাকলো

12:09am
থাবা বাবা

হ

মামা, আমি ফরগিভ, বাট ডণত ফরগেট নীতিতে বিশ্বাস করি

কিন্তু ব্যাপারটাতে ফরগিভ করা সম্ভপব হচ্ছে না

আজ সে আমাকে লক করে আমার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিছে

যাতে আমি দেখতে না পারি!

12:11am
Omi Rahman Pial

ওইটাই মামা। এইরকম এক ঘটনায় মনে করেন আমি দুইরাত ঘুমাইতে পারি নাই, কলেজে থাকতে, আমার খালারে নিয়া উল্টাপাল্টা বলছিলো এক পোলা, তারপর, গিয়া ধুমাইয়া মারছি, এমন মার যে আর ওই পোলা পরীক্ষাই দেয় নাই

12:13am
থাবা বাবা

তাইলে আমার অবস্থা বোঝেন!

তার আজকের স্ট্যাটাস...

12:14am
থাবা বাবা

//আনিস রায়হান
কিছু আবাল আছে, সারাক্ষণ নানা ধরণের অবদমনে ভোগে। ভাম হইয়া গেছে, কোথাও কিছু পারে নাই, অবদমন তো হইবই। আদতে স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া তাদের কিছু করার সামর্থ্যও নাই। কিছু করার জন্য যে পরিমাণ সৎ ও পরিশ্রমী হওয়ার দরকার পড়ে তার কোনোটা এদের মধ্যে নাই। তাইলে? কি আর করার! সারাদিন ফেসবুকে এর ওর পাছায় লাগা ছাড়া আর কি! এক্ষেত্রে একটা ট্যাগ তো খুব জরুরী। নইলে তো আবার ছুডুছুডু পোলাপাইনও গাইল্যাইব। নাস্তিকতা খুব ভালো মুখোশ এদের। আসলে যা বলে সবটাই অবদমনজাত।//

12:17am
Omi Rahman Pial

হ, দেইখা আসলাম। ঘাড়ায়া ছাইড়া দেন মামা।

12:18am
থাবা বাবা

এইখানে পীরের ওপর একটু ছাড়তে হচ্ছে

আনিস আমাদের সাথে কানেক্টেড পীরের মাধ্যমে

আসিফের মতো হইলে আমি আর পল্লব গিয়া মাইরা সতাম!

আসতাম



Thaba himself wrote a note on this ... link read it... you might like to know more about the thaba devil...


https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10151441566700830&set=a.10150264037190830.391369.724535829&type=3&src=https%3A%2F%2Ffbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net%2Fhphotos-ak-snc6%2F204540_10151441566700830_1040880969_o.jpg&smallsrc=https%3A%2F%2Ffbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net%2Fhphotos-ak-ash3%2F598895_10151441566700830_1040880969_n.jpg&size=553%2C1494

raihan anis mentioned by Thaba...

http://www.facebook.com/raihan.anis
 
আনিস রায়হান, এককজন সাংবাদিন ও একজন ব্লগার! তিনি এখন ফেসবুকে ও ব্লগে মানুষের চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়ে বেড়াবার দায় নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে! সাথে ‘বাম’ নিয়ে কিছু বললেও তার ভয়ানক আঁতে লাগে! একসময় ‘আন্ডারগ্রাউন্ড বাম রাজনীতি’ করে রাজনৈতিক মামলায় বেশ কিছুদিন জেল খাটা মানুষ তো (এটা তার মুখ থেকেই শোনা), তাই বাম নিয়ে কিছু বললে তার পিত্তি জ্বলে যায়, বাম জোশ নিয়ে তিনি বাম শিবির রক্ষায় নেমে পরেন। তা তিনি করতেই পারেন, আমরা নিজেরা নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ রক্ষার চেষ্টা চালাই, সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু এহেন একজন মানুষ যখন নিজের তথাকথিত বাম গন্ডির বাইরে পাদিয়ে বসেন তখন তো বিপদ। আনিস সম্পর্কে আমি প্রায় কিছুই জানি না, যা জানা তার পুরোটাই আনিসের নিজের কাছে ও তার বন্ধু ও সুহৃদদের কাছ থেকেই জানা। না জেনে কারো স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলা আমাদের সাজে না... কিন্তু আনিসের মনে হয় এই কথাটা জানা নেই। উপস্থিত প্রমানে তাই মনে হচ্ছে! আমার সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনে আমার চরিত্র বিশ্লেষন করে বসেছেন তিনি... আর আমি যতোদূর জানি তিনি সাইকলজীর ছাত্র না।

৩ নাম্বার পয়েন্টটা আগে বলি। একটা কাজ করে তার পর যখন কেউ জিজ্ঞেস করে আমি কি এমন মহাগর্হিত কাজ করেছি তখন তার সম্পর্কে ক্কি বলবো? আনিস একটা কাজ করেছেন যেটা আমাদের খুবই কষ্ট দিয়েছে, কিন্তু তিনি আমাদের সম্পর্কে(আমার গ্যাং) এতো কিছু জানেন, কিন্তু আমরা কিসে কষ্ট পাই সেটা তিনি ধরতেই পারেন নি।
ঘটনাটা হলো গত ২৮শেও সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আমাদের একটা অফলাইন আড্ডায় আনিস আমাদের প্রিয় ছোটবোন ও ব্লগার ইমা নাইরা ও আমার অনুপস্থিত স্ত্রীকে নিয়ে(যাকে আনিস চেনে না) কিছু অত্যন্ত নোংরা ও নিম্নশ্রেণীর রসিকতা করে বসে। কি বলেছেন সেটা আনিস আপনার ভাল মনে থাকার কথা! এই ধরনের রসিকতা যারা করে আমরা তাদের সাধারনত বখে যাওয়া রাস্তার ছেলে বলি। তাই আমি ও ইমা খুবই অবাক হয়েছিলাম আনিসের কথা শুনে... তাও আবার আড্ডার মধ্যে সবার সামন। তাৎক্ষনিক সেটা আমই আর ইমা হেঁসে উড়িয়ে দিলেও আমার স্ত্রীকে করা রসিকতা হজম করা আমার পক্ষে কঠিন ছিল। আমি জানি ব্লগার ও ছোট ভাই অর্বাচিন তখন ফোনে কথা বলছিলেন বলে তিনিও তার স্ত্রী ইমাকে নিয়ে করা রসিকতাটা শোনে নি, শুনলে কী হতো বলা কঠিন। সবাই তো আর আমার মতো নির্বিবাদী না! এই ঘটনাটা আমাদেরকে এতোই কষ্ট দেয় যে এটা নিয়ে আমরা কথাও বলি নি। এরকম একজন নিম্নরুচির মানুষ আমাদের সুহৃদ ভাবতেও কষ্ট লাগছিল। অথচ এই আনিসের বাসাতেই আমাদের দুদিন জম্পেশ আড্ডা দেবার অভিজ্ঞতাও আছে। তার ও তার স্ত্রী মিতুর আতিথেয়তায়ও আমরা মুগ্ধ ছিলাম। এরকম এক পাতিলের খিচুরির সুহৃদ হবার পরেও য়ানিস যে ইমাকে ও আরেকজন মহিলাকে নিয়ে(যাকে আনিস ঘুনাক্ষরেও চেনেন না) এমন রসিকতা করতে পারেন আমার কল্পনার বাইরে ছিল।

আনিস, আপনার প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনি পেয়েছেন!


১ নাম্বার ও ৪ নাম্বার পয়েন্টে যাই... আনিস, আপনি আমাকে কতোদিন ধরে চেনেন? আপনি জানেন আমি কবে থেকে ব্লগে লিখি অথবা আমি লিখালিখি করি ঠিক কবে থেকে?আপনি আমার ব্লগে ও ফেসবুকে লিখা ফলো করছেন এই বছরের জুন-জুলাই থেকে। কারন এর আগে আপনি আমাকে চিনতেনই না। এই তিন/চার মাসের লিখা দেখেই আপনি আমার লিখাকে ‘বাল টানাটানি’ বলে উল্লেখ করেন কিভাবে? আপনি না সাংবাদিক? আপনারা না ইনভেস্টিগেট করে খবরের পেছনের খবর বের করে আনেন? তার মানে হয় আপনি সাংবাদিক না, আর নয়তো কোন কারনে আপনি আমার ওপর ব্যাক্তিগতভাবে চটেছেন। ব্যাক্তিগত ভাবে চটলে কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবেই আক্রমনটা করার কথা, ওপেন ব্লগে না! আর আমি ব্লগ থেকে বেড়িয়ে না যাই তাই আপনি আমাকে সমর্থন করেছেন, এটা কি ধরনের কথা? আমরা বাচ্চা যে এখন আমাদের দেখেশুনে রাখতে হবে? আপনি আমার অভিভাবক হলেন কবে থেকে? আপনি আমার থেকে সিনিয়ার ব্লগার সেইটা ধরে আমাকে ‘দেখে’ রাখতে চেয়েছিলেন? আপনি কি আমার ব্লগিং এর ইতিহাস জানেন? আপনি জানেন আমি কবে থেকে অনলাইনে লিখি? আপনার বন্ধু আজমকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো খানিকটা জানতে পারেন।

আপনি দিনে দিনে আমাকে ও আমার গ্যাংকে বুঝতে পেরেছেন... আপনার কথা শুনে তো ভাই আপনাকে বেগম খালেদাজিয়ার ছোট ভাই মনে হচ্ছে... একটা অদৃশ্য গ্যাং আবিষ্কার করে বসলেন? আচ্ছা, চেনেন যখন, বলেন কে কে সেই গ্যাং এর সদস্য... আপনি তো জানেন... বলেন শুনি।

আপনি চার নাম্বার বক্সের শেষে বলেছেন //“ফান সিকার ছাড়া আপনাদের আর কিছু মনে হয় নাই। কোনো আলোচনার গভীরে যাওয়ার সামর্থ্য আপনাদের নাই। শুধু একটা যোগ্যতা আছে, ব্যক্তিগত জীবনের অবদমনের প্রবল চাপে যে কোনো সুস্থ্য বিষয়কেও কদর্যতার দিকে, কখনো কখনো দাঁত চিবায়া চিবায়া যৌনতার দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া”// আপনি সম্ভবত ব্যাক্তিগত জীবনের বদমন বলতে আমাদের ব্যাক্তগত জীবনের কথা বলতে চেয়েছেন। কারো ব্যাক্তগত জীবন নিয়ে কথা বলা যে ভয়ানক নীচ ও অসম্মানজনক এটা আপনি জানেন? জানেন না বলে অবলীলায় একটা দম্পতির দাম্পত্য জীবন নিয়ে নোংরা ‘ফান’ করা যায়, বা একজন ভদ্রমহিলাকে ইঙ্গিত করে তার অন্তর্বাস নিয়ে সবার সামনে ‘মজা’ করা যায়! এই কথার উত্তরে হয়তো আপনি বলবেন আপনি নিছক ফান করেছেন... তা ফান আপনি করতেই পারেন, আপনা রুচিমতো অত্যন্ত কদর্য ফানও আপনি করতে পারে যেটা আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়, সেটা আপনার ব্যাক্তিস্বাধীনতা। নিজে এমন ‘ফান’ করবেন, আর আমাকে ও আমার ‘গ্যাং’কে ‘ফান সিকার’ বলে গালি দেয়া আপনার পক্ষেই সাজে... আর আমরা হই // ব্যক্তিগত জীবনের অবদমনের প্রবল চাপে যে কোনো সুস্থ্য বিষয়কেও কদর্যতার দিকে, কখনো কখনো দাঁত চিবায়া চিবায়া যৌনতার দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া// পাবলিক। তা আপনাকে কোন ব্যক্তিগত অবদমনের কারনে দুইজন ভদ্রমহিলাকে নিয়ে নিয়ে সর্বসমক্ষে যৌন ইঙ্গিতবাহী কদর্য কৌতুক করে অবদম দূর করতে হয় তাও আবার নিজের স্ত্রীর সামনে ব্যাখা করবেন?
আর পাঁচ নাম্বার পয়েন্টে আপনি ‘এইসব বালের রিভার্স খেলা’ বলতে কি বোঝাচ্ছেন? আমি একটা সিম্পল স্যাটায়ার লিখে নাগরিক ব্লগে পোস্ট করেছি, কিন্তু সেখানে আপনি কি বলে এসেছেন আপনার মনে আছে কি? আপনি সবার মাঝখানে এসে “বলদ আবার বুঝব কেমনে? ওতো বলদই... যাঃ হিট লইয়া পাছা চুলকাইতে থাক” বলে একটা মন্তব্য করে গেলেন... আমার তো মনে পরে না আনিস আমি কোথাও আপনার লিখা পছন্দ না হলেও কখনো গালি দিয়েছি! আপনি সম্ভবত কাউকে উদ্দেশ্য করে গালি দেয়া যে অভদ্রতা সেটা শেখেন নি।


চারটা পয়েন্টে আপনার বক্তব্য ও এই দুইটা স্ক্রীনশটে আপনার যে বক্তব্য দেখা যাচ্ছে, তাতে আপনাকে স্বল্প সময়ের পরিচয়েই একজন নিম্নরুচির মানুষ বলা ছাড়া কোন উপায় থাকে না... আমার ও আমাদের জোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন আপনি... কতোটা জানেন আপনি আমাদের সম্পর্কে যে তিন মাসের পরিচয়ে আমাদের যোগয়তা বুঝে ফেলেছেন? আমার লিখালিখির কতোটা দেখেছেন আপনি আপনার ব্লগ ও নেট লাইফে? সম্ভবত জানেন না। আর আপনি আমার খুব প্রিয় ছোট বোন ও আমার স্ত্রীকে নিয়ে নোংরা ইঙ্গিতবাহী কদর্য ‘ফান’ করে আমাদের ‘বাল ছেঁড়া’র কাজটি করে ফেলেছেন...

এইবার আসি আপনার ২ নাম্বার পয়েন্টে... আপনার প্রিয় বন্ধু মহামান্যর(সম্ভবত মহামান্য আপনার আগে থেকেই আমরও প্রিয় বন্ধু ও সেটা একদমই নিঃস্বার্থ) যে কথাটা আপনি কোট করেছেন, সেটা কি আপনি বুঝে দিয়েছেন নাকি আমাকে ও আমার ‘গ্যাং’কে পচানোর জোশে দিয়ে ফেলেছেন? আপনি হয়তো খেয়াল করেন নি ওখানে মহামান্য বলেছেন... //এইটা করার তিনটা সহজ রাস্তা হইল নাস্তিক মুখোশ নেয়া, বামরাজনীতির ভেক ধরা এবং অনলাইনে ধর্মের সোল এজেন্ট নেয়া। এইগুলান থেইকা সাবধান।//আপনিও কিন্তু নাস্তিক মুখোশ নিয়েছেন, আপনিও আমার ধর্মবিরোধী স্যাটায়ারের বিরুদ্ধে ধর্মের সোল এজেন্ট হয়েছেন... আর শেষ কথা হলো বাম রাজনীতির ভেক ধরেছেন। বাম বললে আপনি ক্ষেপে যান তো, একটু কষ্ট করে ‘বাম’ শব্দটার কোন ভাষায় কয়টা অর্থ আছে জেনে আসবেন। সেন্ট্রাল লন্ডনের একটা বিশেষ শ্রেণী আছে, যাদের বলা হয় ‘ককনী’, তাদের ডায়ালেক্টে ‘বাম’ কথাটার অর্থ হচ্ছে মানুষের পাছা বা পশ্চাদ্দেশ। আপনি লেফটিস্ট না, আপনি ককনী বাম।
সর্বশেষে আপনার কাছেও আমার একটা জিজ্ঞাস্য আছে... আপনার আন্দারগ্রাউন্ড বাম রাজনীতি করে জেল খাটার ইতিহাসটা একটু খুলে বলবেন? আমাদের প্রচলিত ধারনায় কিন্তু এখন দক্ষিনাঞ্চলের সর্বহারাদেরই একমাত্র আন্ডারগ্রাউন্ড বাম বলা হয়... যারা মূলত ডাকাত ও পেশাদার খুনী। আশাকরি আমাদের শ্রেণীশত্রু বলে ঘাড় থেকে কল্লা নামানোর আগে আমাদের প্রশ্নের উত্তরটা দেবেন!

এই পোস্টে যাদের উল্লেখ আছে তারা হলেন প্রিয় বন্ধু ও ছোট ভাই মহামান্য কহেন, ও অর্বাচিন স্বাপ্নিক, প্রিয় ছোট বোন Ema Nayera, যার কথা উল্লেখ নেই প্রিয় বড় ভাই ও ফ্রেন্ড ফিলসফার এন্ড গাইড আল্লামা শয়তান, প্রিয় ছোট ভাই যে কি না ২৪ঘন্টা আমার পাশে বসে তার সুচিন্তিত মতামত দেয়... কাজী গালিব; আরো একজন আছে ছোট ভাই ও বন্ধু সাফিন আহমেদ অনিক ও আমার নেট লাইফের শুরু যেখানে আমার ব্লগিং এর শুরু যেখানে, সেই যৌবনযাত্রা ডট কমের প্রিয় মামারা! আর আছেন আমার স্ত্রী, যে কি না আমাদের এইসব এক্টিভিটিতে কোন ভাবে যুক্ত না হয়েও আপনার নোংরা ও কদর্য যৌনইঙ্গিতবাহী নির্দোষ 'ফান' শিকার হয়েছেন।
 
**deleted**

As the PM feature is not working tell
me a better way, I might send you the actual ID.
 
@aazidane . BRO AMARDESH published it.... Headline............

Daily Amardesh -????, ?????? ?? ?????????? ????, ? ??????? ????, ? ????? ???? ???? ?????


ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্র

থ্যপ্রযুক্তির প্রসারে মত প্রকাশের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে ওঠা ব্লগকে একশ্রেণীর যুবক ইসলামের বিরুদ্ধে কুত্সা রটনার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ধর্মদ্রোহী ও নাস্তিক যুবগোষ্ঠী মহান আল্লাহ, তার পবিত্র গ্রন্থ কোরআন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.), ঈদ, নামায, রোজা ও হজ সম্পর্কে জঘন্য ভাষায় বিষোদ্গার করে মুসলমানদের ইমান-আকীদায় আঘাত হানছে। তাদের কুিসত ও অশ্লীল লেখা পড়লে যে কোনো মুসলমানের স্থির থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি বিবেকবান অমুসলিমদেরও গা শিউরে ওঠার কথা। ব্লগে ইসলামী বিধান, রীতি-নীতিকে কটাক্ষ করা হচ্ছে প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় এবং নবী-রাসুলদের কাল্পনিক কাহিনী ও মতামত লেখা হচ্ছে অবলীলায়। ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের মধ্যে অন্যতম ছিল শুক্রবার রাতে মিরপুরে খুন হওয়া শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা আহমেদ রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা।
অবশ্য রাজীবের ব্লগে ইসলামবিরোধী লেখার লিঙ্কগুলো তার মৃত্যুর পর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন আর ইন্টারনেটে ওইসব ধৃষ্ঠতাপূর্ণ লেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে তাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য এসব লিঙ্ক খুঁজে খুঁজে মুছে (ডিলিট) দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, থাবা বাবার লেখা নিয়ে যারা সমালোচনা করেছে ফেসবুকসহ সেই লিঙ্কগুলোও এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গতকাল দৈনিক ইনকিলাব ‘ইসলাম মহানবীকে (স.) অবমাননা করে ব্লগে রাজীবের কুরুচিপূর্ণ লেখা’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট ছাপলে ইনকিলাবের ওয়েবসাইটের ওই লিঙ্কটিও ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
রাজীবকে অজ্ঞাত ঘাতকরা রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার পর জবাই করে হত্যা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজীব হত্যার মোটিভ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে না পারলেও খোদ প্রধানমন্ত্রী ওই খুনের দায় জামায়াত-শিবিরের ওপর চাপিয়ে তাদের রাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এ খুন নিয়ে শাহবাগে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিশোধ নেয়ার শপথ নেয়া হয়েছে। শাহবাগ আন্দোলনকারীরা রাজীব খুনের জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন। যদিও জামায়াত আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘ব্লগার রাজীব হত্যার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার তারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে থাবা বাবা হিসেবে ব্লগে ইসলামবিদ্বেষী লেখক রাজীবের মৃত্যুর পর ব্লগার কমিউনিটিতে চলছে তোলপাড়। আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
ইন্টারনেট থেকে রাজীবের আপত্তিকর লেখা সরিয়ে নেয়ার আগে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ব্লগার থাবা বাবা ওরফে রাজীব মুসলমানদের ধর্ম ইসলাম ও প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে অনেক কুরুচিপূর্ণ লেখা ব্লগে লিখে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। আওয়ামীপন্থী কিছু ব্লগার এরই মধ্যে ব্লগে অভিযোগ করেছেন, ব্লগার থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দারের নিজস্ব ওয়ার্ড প্রেস ব্লগ nuranichapa.wordpress.com ভুয়া। তবে এই ব্লগটা এখন আর নেই কেন এ প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এই সাইটে ক্লিক করলে লেখা আসছে-nuranichapa.wordpress.com is no longer available
জানা গেছে, এই থাবা বাবা হলো ধর্মকারী নামক ব্লগের নিয়মিত লেখক। এই সাইটটিও এরই মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। অবশ্য যে কেউ এর cache copy দেখতে পারেন google.com এ। গুগল এ গিয়ে cache:ধর্মকারী টাইপ করে enter চাপলেই লেখা আসছে- This is Google’s cache of ধর্মকারী. It is a snapshot of the page as it appeared on 16 Feb 2013 17:40:37 GMT. The current page could have changed in the meantime. Learn more....
অর্থাত্ গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারিতেই এই সাইটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যেখানে এখন আর কোনো তথ্য নেই।
দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করে আসা ব্লগাররা ‘থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দারকে ভার্চুয়াল ব্লগে বিচরণ করতে দেখেছেন বলে লিখছেন। গতকাল প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠাতেও লেখা হয়েছে, ব্লগার থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দার Amarblog.com: Bangla Blog ( এ নিয়মিত লিখত। এখানে সে ৩ বছর ১৩ সপ্তাহ ধরে লিখছে যা ব্লগে তার প্রোফাইল অপশন থেকে জানা গেছে। আমার ব্লগের এই লিংক- লাড়ায়া দে | Amarblog.com: Bangla Blog ( আমারব্লগ ) with no Moderation. এ (গতকাল পর্যন্ত শোভা পাচ্ছিল) গেলেও প্রমাণ মিলবে এই ব্লগার থাবা বাবা ওরফে আহমেদ রাজীব হায়দার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে।
রাজীব ‘নুরানী চাপা’ নামের একটি ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করত। সেখানে ‘মোহাম্মকের (মোহাম্মদ+আহাম্মক) সফেদ লুঙ্গি, ঈদ মোবারক আর ঈদের জামাতের হিস্টরি, ঢিলা ও কুলুখ, সিজদা, হেরা গুহা, ইফতারি ও খুর্মা খেজুর, সিয়াম সাধনার ইতিবৃত্ত, লাড়াইয়া দে, মদ ও মোহাম্মক, আজল’ ইত্যাদি শিরোনামে বেশ কিছু বিতর্কিত ব্লগ লিখেছে।
ফেসবুকেও ইসলামকে কটাক্ষ করে রাজীবের কিছু মন্তব্য : সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর Ahmed Rajib Haider ফেসবুক এ জয়েন করে। তার ফেসবুক আইডি- https://www.facebook.com/rha.rajib
২০১০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে সে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছে, ১০ হাজার মানুষ হত্যার প্রামাণ্য অভিযোগ মাথায় নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাবার্ষিকীতে মুসলমানদের ধর্মীয় উত্সব পালন কতটা মানবিক?’ (সম্ভবত এদিন মুসলমানদের ঈদের দিন ছিল)।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে লিখেছে, ‘সবাই তারেক-কোকো আর হাসিনা-খালেদার বিদেশে টাকা পাচারের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় করে ফেলছে... এদিকে প্রতি বছর সবার চোখের সামনে দিয়ে কয়েক লাখ হাজী যে মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা সৌদি আরবে ঢেলে দিয়ে আসছে সেটা কেউ টু শব্দটা করে না...!!’
২০১১ সালে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে মুসলমানদের নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছে, “মুসলিমদের ‘টেররিস্ট’ আখ্যা দেয়া অন্যায়, তাদের জন্য উপযুক্ত নাম হলো ‘সিরিয়াল কিলার’!”
আবার ২৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছে, আমরা ঈশ্বর নামক কারও জারজ না... আমাদের বাবা-মায়েরা নিজেদের দৈহিক মিলনের মাধ্যমে আমাদের জন্ম দিয়েছে! আমার স্রষ্টা আমার জেনেটিক বাবা-মা, আমি তাদের সৃষ্টি। আবার আমি আমার সন্তানদের স্রষ্টা...তারা আমার সৃষ্টি!!! আর এই পুরো প্রকৃয়াটিতে বাবা-মায়ের বাইরে যদি কাউকে ধন্যবাদ দিতে হয়, সে হলো ধাত্রী অথবা ডাক্তার ও নার্স!
বিভিন্ন ব্লগে নিহত ব্লগার থাবা বাবার এরকম কয়েকটি লেখা যা হুবহু পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো :
১
ঈদ মোবারক আর ঈদের জামাতের হিস্টরি : খাদিজার হাতে ধরা খাইয়া মোহাম্মকের টানা একমাস খানা খাইদ্য সাথে দাসী বান্দী পুরাই অফ আছিল (সিয়াম সাধনার ইতিবৃত দ্রষ্টব্য) তার জেলখানার মেয়াদ শেষ হইতে না হইতেই এক দৌড়ে বাইর হইয়া সরাসরি পাবে জমজমে চইলা গেল। এতো দিনের না খাওয়া বান্দা তাই বেসামাল আরবি টানলো হাউশ ফুরাইয়া। তার পর তার সেই চিরাচরিত কাবাঘরের সামনের চত্বরে সাথে তার ইউজুয়াল ইয়ার-দোস্তরা। মোহাম্মক তো টাল স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভাণ্ডের ওপর ঝাপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো। যথারীতি সকাল বেলা মোহাম্মক ঊর্ধ্বপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবেসাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো তার পাতিনবী পতিদেব কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। কোনোরকমে তুপটা গায়ে জড়ায়া মুবারকরে লইয়া দিল দৌড়। তার যা মেজাজ তখন, হাতের কাছে থান ইট পাইলে মোহাম্মকের মস্তক শরীফ আস্তা থাকার কথা না। খাদিজা দৌড়াইতাছে, সামনে মুবারক দৌড়াইতাছে আর খাদিজা চিল্লায় চিল্লায় কইতাছে ‘মুবারক ইট, মুবারক ইট’, মানে মুবারকরে ইট নিতে কইতাছে মোহাম্মকের মাথা থ্যাতলানের জইন্য। কিন্তু তখনো তো পোড়া ইট আরবে ঢোকে নাই, তাই মুবারকও ইট খুঁইজা পায় নাই। এই দিকে চিল্লাপাল্লা আর খাদিজার ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দেইখা মানুষজনও তাদের পিছে পিছে যাওয়া শুরু করলো মজমা দেখতে। কিন্তু কাহিনী তো তারা জানে না, তারা শুধু শুনছে খাদিজা চিল্লাচ্ছে ‘ইট মুবারক, ইট মুবারক’!!!
কাবা প্রাঙ্গণে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধ্বপোঁদে পজিশিত। মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে ঐটা হৈল নামাজের সিজদা (সিজদা দ্রষ্টব) তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করল ইটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন ঊর্ধ্বপোঁদে নামাজ পরা আর ইট মুবারক বলার রীতি শুরু হইল, আর কালক্রমে শব্দবিচ্যুতির কারণে ইট হয়ে গেল ঈদ!

২
ঢিলা ও কুলুখ
‘বাবা মোহাম্মক তোমাকে যুদ্ধে যাইতে হইপে।”
‘কেনু কাক্কু?’
‘যুদ্ধে না যাইলে যে আমাগের না খাইয়ে মরিতে হইপে বাবা!’
‘আচ্ছা তবে যাইব। কিন্তুক আমাকে কোথায় খাড়াইয়া যুদ্ধ করিতে হইপে? সামনে খাড়ায় নাকি পিছনে?’
‘মনে করো সামনেই খাড়াইতে হইপে’
আমারে কি উষ্ট্রী দেয়া হইপে নাকি খাড়ার ওপরে পলাইতে হইপে? উষ্ট্রী দিলে কোন কথা নাই, কিন্তু খাড়ার ওপরে পলাইতে হইলে দুইখান কথা আছে।’
‘তোমাকে খাড়ার ওপরই পলাইতে হইপে।’
‘আমি যদি পলাইয়া মক্কা চলিয়া আসিতে পারি, তাহা হইলে কুনু কতা নাই, কিন্তু কাফেররা ধরিয়া ফেলিলে দুইখান কতা আছে।’
‘মনু করো তাহারা তোমাকে ধরিয়া ফেলাইপে’
‘কাফের রমণীরা আমাকে তাহাদের গনিমতের মাল বলিয়া ব্যাবহার করিপে নাকি আমার কল্লা কাটিয়া ফেলাইপে।’
‘কল্লাই কাটিল না হয়, তুমার যা সাইজ ইউজ কেউ করিপে না’!
‘আমাকে কাটিয়া শকুন দিয়া খাওয়াইপে নাকি কব্বর দিপে!’
‘তাকে কব্বরেই পাঠাবে রে বাবা!’
‘আমার কবর কি মরূদ্যানে দেবে নাকি মরুতে? মরুতে দিলে কতা নাই, কিন্তু মরূদ্যানে দিলে দুইখান কতা আছে!’
‘দরকার হইলে মি তুমাকে মরুত্থে তুলে নিয়ে মরূদ্যানে লইয়া আসিপ!’
‘কাক্কু কব্বরে কি খাইজুর গাছ লাগাইপে নাকি বাবলা বেরেক্ষ?’
‘বাবলা বেররেক্ষ হইপে বাবা!’
‘সেই বাবলা গাছে কি জ্বালানি কাষ্ঠ হইপে নাকি কাগজ?’
‘কাগজই হইপে’
‘কি কাগজ কাক্কু? লিখিপার জইন্য বেদাতী কাগজ নাকি টিস্যু’
‘টিস্যুই না হয় হইপে!’
‘সুরত মুছিপার টিস্যু কাক্কু, নাকি এস্তেঞ্জা করিপার?’
প্রশ্নবানে জর্জরিত কাক্কু আপদুল্লা বুঝিয়াছে বাস্তে মোহাআম্মক ভাগার তাল করিতেছে, তাই ক্ষেপেছে বে, ‘এস্তেঞ্জা করিপারই হইপে তোর মতো চুরাকে কি কেউ মাথায় করিয়া রাখিপে?’
‘তাহা হইলে কাক্কু সে টিস্যু কি পুরুষে ব্যবহার করিপে নাকি নারীতে?’
‘তুই কি তছলিমা নাসরীন যে নারী পুরুষে ভেদাভেদ করিয়া দিলি?’
তরুণ মোহাম্মক তাহার প্রশ্নবাণ শেষ করিবার আগেই কাক্কু তাহাকে চাক্কু দেখাইয়া যুদ্ধে পাঠাইয়া দিলো। কেই বা এমন প্যাচাল শুনিতে চায়! মোহাম্মকের সম্যক প্রশ্ন সত্ত্বেও তাহাকে যুদ্ধে যাইতে হইলো জীবনের শেষ পর্যন্ত তাহার যুদ্ধে মরিয়া নারীকূলের ব্যবহার্য টিস্যু হইবার ভয়ে কাটিয়াছে। তাই শেষ পর্যন্ত টিস্যু, মায় জলগ্রহণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করিয়া ঢিলাকুলুখ ও পাত্থর ব্যবহারের রীতি প্রদান করিয়া তবে শান্তি পাইলো! সেই থেকে লিকুইড এস্তেঞ্জার পরে ঢিলাকুলুখ (এক্ষেত্রে নারীকূলের কথা ভাবা হয় নাই) ও সলিড এস্তেঞ্জার পরে ৫, ৭, ৯, ১১, ১৩ ইত্যাদি সংখ্যক পাত্থর ব্যবহার মুসলমানদিগের জন্য ফরজ হইয়া গেল

৩
সিজদা
মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি খাইয়া (মদ বিশেষ) পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্মেহানী নেই।
ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিমিত্তে সে ঊর্ধ্বপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশি চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত। এমতাবস্থায় কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে, সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গিটির নাম সিজদা।
সেই হইতে মুসলমানের জন্য ঊর্ধ্বপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!

৪.
ইফতারি ও খুর্মা খেজুর
একদা মোহাম্মক তাহার ৩০০ মিলিওন বছরের পুরান পাবলিকা মডেলের গাধায় চড়িয়া দাফতরিক কাজে মক্কার উপকণ্ঠে বনি লুবর-ই-কান গোত্রের মরূদ্যানের দিকে যাইতেছিল। তাহার মেজাজ যাহারপরনাই খারাপ। যাতায়াতের নিমিত্তে খাদিজা বিবির ইম্পোর্টেড মডেলের লিমোজিন উষ্ট্রীটিকে সে পায় নাই। খাদিজা তাহাকে পতিত্ব দান করিয়া শরীরের অধিকার দান করিলেও দাফতরিক কার্যে কেরানি অবধিও পদোন্নতি দান করে নাই। মক্কার সর্বাপেক্ষা ধনী ব্যবসায়ীর পতি নবী হইলেও তাহাকে অদ্যাবধি সশরীরে মরুভূমিতে দুম্বা চড়াইতে যাইতে হয়। পদোন্নতি ঘটিবে এমন সম্ভাবনাও সুদূর পরাহত। ইকরা পাস করিলে পদোন্নতি ঘটার কথা, জেব্রাইলের উত্তম-মধ্যম খাইয়া ইকরা পাসও করিয়াছিল, কিন্তু খাদিজার ‘ইমতিহান’এ ফেল মারিয়া থোড় বড়ি খাড়াতেই রহিয়া গিয়াছে, খদিজা বিবি তাহার পদোন্নতি আটকাইয়া দিয়াছে।
আজকের ট্রিপটিতে মোহাম্মক নিজে না গিয়া সাকরেদ আবু বকরীকে পাঠাইতে মনস্থ করিয়াছিল, কিন্তু খাদিজা তাহার হস্তে ‘কনফিডেনশিয়াল’ কণ্টকখচিত খেজুরপত্রের আঁটি ধরাইয়া সব মাটি করিয়াছে। তাহার হেরা গুহায় গিয়া নাসিকায় উষ্ট্র চর্বির তৈল ঘষিয়া দিবানিদ্রার দ্বাদশ ঘটিকা বাজাইয়া দিয়াছে। তথাপি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাহাকে বাহির হইতে হইলো। বাহির হইবার মুখে একবার মনস্থ করিল খাদিজা বিবির ইম্পোর্টেড শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চন্দ্রাতপ আঁটা উষ্ট্রীখানিকে যাতায়াতের নিমিত্তে লইয়া যাইবে, কিন্তু তাহার কিছু বলিবার আগেই খাদিজা বিবি তাহার হস্তে বসিবার গদিবিহীন পাবলিকা গাধার রজ্জু ধরাইয়া দিল। বনি লুব-ই-কান গোত্রের মরূদ্যানে যাইতে যাইতে এসব কথা ভাবিয়া খাদিজা বিবির চতুর্দশ গুষ্টির পিণ্ডি উদ্ধার করিতেছিল সে। কনফিডেনশিয়াল না ঘেচু। উষ্ট্রের গায়ে মর্দন করিবার উত্তম তৈলের একচেটিয়া কারবার বনি লুবর-ই-কান গোত্রের। সুদূর মেসোপটেমিয়া হইতে আমদানি করা বিশেষ কাস্তারি ব্র্যান্ডের তৈল না হইলে খাদিজা বিবির ইম্পোর্টেড লিমোজিন মডেলের উষ্ট্রীর গাত্র কুটকুট করে। তাই ঐ তৈল না হইলে হয় না। কিন্তু এবারের চালানে মক্কার কেন্দ্রীয় চুঙ্গীঘরকে গোপন করিয়া বেশ কিছু মিশরীয় উষ্ট্রী আসিয়াছে। তাই মক্কার মুসক বিভাগ তাহার পিছে পড়িয়া গিয়াছে উপযুক্ত মুসক আদায়ের লক্ষ্যে। কনফিডেনশিয়াল খেজুর পত্রে বনি লুবর-ই-কান গোত্রাধিপতিকে নির্দেশ প্রদান করা আছে যে, কয় অ্যাম্ফোরা তৈল খাদিজা বিবি ক্রয় করিয়াছে তাহা যেন কুরাইশ মুসক বিভাগের অ্যাম্ফোরা গণকদিগের এনকোয়ারিতে গোপন রাখা হয়, নইলে তাহারা অ্যাম্ফোরা গুনিয়া উষ্ট্রীর মুসক হিসাব করিয়া ফেলিবে।
মোহাম্মক বনি লুবর-ই-কান গোত্রের মরূদ্যানের নিকটবর্তী হইতেই দেখিল গোত্রাধিপতির তাম্বুর সম্মুখে মুসক বিভাগের চারিখানা উষ্ট্র দণ্ডায়মান। অ্যাম্ফোরা গণকেরা মোহাম্মকের পূর্বেই আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। এই অবস্থায় গাত্র ঢাকা দেয়া ছাড়া আর কোনো গত্যন্তর নাই। খাদিজার খেজুর পত্র তাহাদের হাতে পড়িলে সমূহ বিপদ। কাকা আবু তালিব বিন আবদুল মুত্তালিবও তাহাকে উদ্ধার করিয়া আনিতে পারিবে না। মোহাম্মক গাধা ঘুরাইয়া আবার মক্কাভিমুখে রওয়ানা হইলো, কিন্তু ততক্ষণে মুসক বিভাগের গণকেরা তাহাকে দেখিয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু ততক্ষণে মোহাম্মকও বেশ দূরে চলিয়া গিয়াছে। কিন্তু তাহার পাবলিকা গণকদিগের রেসিং উষ্ট্রের সহিত পারিবে কেন? তাই মোহাম্মক গাধা ঘুরাইয়া নিকটবর্তী পাথরের স্তূপের দিকে ধাবিত হইল। সেই স্থানে পৌঁছাইয়া মোহাম্মক তাড়াতাড়ি তাহার পাবলিকা গাধাটিকে একটি বৃহত্ প্রস্তরের আড়ালে লুকাইয়া নিজে একটি গুহায় গিয়া আত্মগোপন করিল। গণক বাহিনী চলিয়া গেলে সে বাহির হইয়া মক্ষা প্রত্যাবর্তন করিবে। কিয়ত্কাল পরে গণকেরা চলিয়া গেলে মোহাম্মক ধীরে ধীরে গুহা হইতে বাহির হইয়া বোকা গর্ধবটিকে লইয়া মক্কার পথে রওয়ানা হইল। একে তো কার্য সমাধা হয় নাই, তাহার ওপর পাবলিকা গর্ধবের পৃষ্ঠে কোনোরূপ গদি নাই। তাহার পশ্চাদ্দেশে গাধার মেরুদণ্ডের ভার্টিব্রা যেন খেজুর বিচির ন্যায় বিঁধিতে লাগিল। গর্ধবের চেনা পথ, তাহাকে পরিচালিত করিবার প্রয়োজন নাই বিধায় মোহাম্মক গাধার পৃষ্ঠে তন্দ্রাচ্ছন্ন হইয়া পড়িল।
মক্কার মূল পথে উঠিবার ঠিক পূর্বে একটি ক্ষুদ্র মরূদ্যান পার হইবার সময় হঠাত্ করিয়া একটি খেজুর ঝোপের আড়াল হইতে চারিখানা উষ্ট্র আসিয়া তাহার গতি রোধ করিয়া দাঁড়াইল। মোহাম্মক চমকিয়া উঠিল, সেই অ্যাম্ফোরা গণকের দল। তাহারা মোহাম্মককে তাহার তুপ (আরবীয় আলখাল্লা) ধরিয়া নামাইয়া মরূদ্যানের অভ্যন্তরে খেজুর পত্রের তৈরি একখানি নড়বড়ে কুটিরে লইয়া গেল। তাহার পর তাহাকে ভূমিতে ভূলুণ্ঠিত করিয়া খেজুর পত্রের রজ্জু দ্বারা উত্তম রূপে গ্রন্থিত করিয়া জেরা শুরু করিল, খাদিজা বিবি কয়খানা মিশরীয় উষ্ট্রী ইম্পোর্ট করিয়াছে। মোহাম্মকও বলিবে না, অ্যাম্ফোরা গণকেরাও ছাড়িবে না। প্রহর দেড়েক কাটিয়া যাইবার পরেও তাহারাদিগের প্রধান মোহাম্মকের নিকট হইতে কোনো বাক্য উদ্ধার করিতে না পারিয়া শেষে অধস্তন একটি সাকরেদকে নির্দেশ প্রদান করিল যে বাহিরে সবচাইতে বড় যেই ফল পাইবে, তাহাই যেন সত্বর লইয়া আসে। অধস্তন গণনাকারী কিছুক্ষণের মধ্যেই এক কাঁদি হরিদ্রা রঞ্জিত বৃহত্ খেজুর লইয়া হাজির হইল। মোহাম্মকের খেজুর দেখিয়াই ক্ষুধা চাগাইয়া উঠিল। যেই সে এই কথা বলিতে যাইবে, অধিপতি বলিল, ‘তুই আবু তালিব বিন মুত্তালিবের ভাতিজা বলিয়া আজ ছাড়িয়া দিতাছি, তথাপি পরবর্তীতে যেন কোনরূপ মুসক দানে অপারগতা প্রকাশ না করিস, তাই কিঞ্চিত্ আগাম সতর্কবার্তা দিয়া ছাড়িয়া দিতাছি।’ তাহার পর চার ষণ্ডা মিলিয়া আল্লার পেয়ারা নবীকে উপুড় করিয়া তুপ তুলিয়া একটা একটা খেজুর ভড়িতে শুরু করিল। মোহাম্মক খেজুর গ্রহণের তীব্র বেদনায় আর্তনাদ করিয়া উঠিল, তাহার পর সে অনুধাবন করিল যে, সে আসলে তাহার পাবলিকার পৃষ্ঠে তন্দ্রার ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখিয়াছে, আর তাহার পৃষ্ঠের ভার্টিব্রা তাহার পশ্চাদ্দেশে শক্ত খেজুরের ন্যায় খোঁচা মারিয়া যাইতেছে অনবরত।
তন্দ্রা ভাঙিয়া দুঃস্বপ্ন উপলব্ধি করিবার পরপরই সে দেখিল, সে গৃহের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। তড়িঘড়ি করিয়া পাবলিকা হইতে অবতরণ করিয়া অসার পশ্চাদ্দেশে হাত বুলাইতে বুলাইতে ভাবিল, তাহার নসিবখানা নিতান্তই প্রসন্ন যে, সে আরব ভূমিতে জন্মিয়াছে। নচেত্ বাঙ্গালদেশের কাঁঠাল, দাক্ষিণাত্যের নারকেল বা নিদেনপক্ষে পারস্যের আখরোট গ্রহণ করতঃ তাহার রেকটামের দ্বাদশ ঘটিকা বাজিয়া যাইত। তাই সে আরব ভূমিতে জন্মগ্রহণের নিমিত্তে আল্লাকে শুক্রাণু থুড়ি শুক্রিয়া আদায় করিয়া মুচকি মুচকি হাসিয়া ফেলিল। ঠিক এই সময় আবু-বকরী একঝুড়ি হরিদ্রা রঞ্জিত বৃহত্ খেজুর লইয়া খাদিজা বিবির গৃহদ্বারে আসিয়া উপস্থিত হইল, উপরন্তু মোহাম্মককে আল্লার কাছে শুক্রিয়া আদায় অবস্থায় আবিষ্কার করিল। মোহাম্মকের শুক্রিয়া আদায় সমাপ্ত হইলে সে জিজ্ঞাসা করিল, ‘হে রাসুলে খোদা, এই শুক্রিয়া আদায়ের নিমিত্ত সম্পর্কে কি আমি জ্ঞাত হইতে পারি?’ রাসুলে খোদা তাহার দিকে ফিরিয়া হস্তের ঝুড়িটির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া মৃদু হাস্যে বলিল, ‘ইয়া আবু বকরী, তুমি নিশ্চয়ই আল্লার শুক্রিয়া আদায় করো, কারণ তুমি জান না আল্লা তোমাদিগের জন্য রমজানের ইফতারিতে কি তিনখানা বস্তু নেয়ামত স্বরূপ পাঠাইয়াছে।’
বকরি সুধাইলো, ‘কি সেই তিনখানা বস্তু খোদাবন্দ?’
মোহাম্মক রিপ্লাই করিল, ‘তাহার প্রথমটি হইলো খেজুর কাঁঠাল নয়, বল আলহামদুলিল্লা।’
বকরি বলিল, ‘আলহামদুলিল্লা’
‘দ্বিতীয়টি হইলো খেজুর নারিকেল নয়, বলো আলহামদুলিল্লা।’
বকরি বলিল, ‘আলহামদুলিল্লা।’
তৃতীয়টি হলো খেজুর আখরোট নয়, বলো, ‘আলহামদুলিল্লা।’
বকরি বলিল, ‘আলহামদুলিল্লা।’
এই বলিয়া মোহাম্মক আবু বকরীর নিকট হইতে খেজুরপূর্ণ ঝুড়িখানা হস্তগত করিয়া গৃহাভ্যন্তরে অন্তর্নিহিত হইলো আর বকরী আল্লা ও তার রাসুলের গুণে মুগ্ধ হইয়া এই আশ্চর্য সুসংবাদ তামাম জাহানের মুসলমানদিগের নিকট পৌঁছাইয়া দিতে বাহির হইয়া পড়িল!
৬.
সিয়াম সাধনার ইতিবৃত্ত
সে অনেক কাল আগের কথা। আরবের লোকেরা তখন আল্লাকে ভুলিয়া গিয়াছিল। ভোলে নাই কেবল একজন, মহামতি মোহাম্মক। তাহাও খোদাতালা তাহাকে জেব্রাইল প্রেরণ করিয়া উত্তম মধ্যম সহযোগে ইয়াদ করাইয়া না দিলে তাহারও আল্লার কথা ইয়াদ করিতে বেগ পাইতে হইতো। তা সেইবার জেব্রাইলের মধ্যম উত্তমরূপে খাইয়া তাহার ভয়ানকরূপে বাহিরে বালিয়াড়ির আড়ালে যাইবার বেগ চাপিয়াছিল কিনা আমাদিগের নিশ্চিত জানা নাই, তবে তাহার বৃদ্ধা পত্নী খাদিজা হইতে বর্ণিত যে, সেবার পর্বত-পাদদেশ হইতে ভেড়া লইয়া ফিরিবার পর সবরী থুক্কু পেয়ারা নবী বেশ কিছু দিবস শয্যাশায়ী ছিলেন। যাহা হউক, তাহার বেশ কিছুদিন গত হইবার পর আজিকার এই কাহিনীর আরম্ভ।
হেরা গুহায় জেব্রাইলের উত্তম মধ্যম খাইয়া মোহাম্মদের আল্লার কথা মনে পড়িয়াছিল বটে। আধুনিক বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের মাথায় ডান্ডার বাড়ি খাইয়া ইয়াদ্দাশ ফেরত আসিবার গল্প বোধ করি ১৪০০ বত্সর পূর্বের মোহাম্মকের উত্তম মধ্যম খাইবার ঘটনা হইতেই আসিয়াছে। তবে স্মৃতি ফিরাইবার ক্ষেত্রে উত্তম মধ্যম যে কীরূপ কার্যকর তাহা মোহাম্মকের ঘটনা হইতেই উত্তমরূপে প্রতীয়মান হয়। সেই স্মৃতি এমনই বলশালী হইয়া ফেরত আসিয়াছিল যে মোহাম্মক তাহার বাকি জীবন আল্লার শবরী কলা হিসাবেই কাটাইয়া দিবার নিমিত্তে নিজেকে উত্সর্গ করিয়া দিয়াছিল। তবে তাহার আল্লার দূত হইবার সমস্ত আয়োজনই এক কথায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইয়া যাইতে বসিয়াছিল তাহার পত্নী খাদিজার উপস্থিতিতে। খাদিজা তাহার পতি-নবীকে হস্তে রাখিবার নিমিত্তে তাহার সমস্ত কথাই বিনা বাক্যব্যয়ে মানিয়া লইয়াছিল ঠিকই, তথাপি তাহার কথায় কদাচিত্ বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছে। আর মোহাম্মক যেইরূপ প্রায়শই তাহার ব্যবসায়িক তহবিল তছরুপ করিত, তাহাতে তাহার আল্লার সাক্ষ্যও খুব একটা কার্যকরী হইতে পারিছেলিন না। অপর হস্তে খাদিজা প্রেমময় পত্নী হইলেও বিষয়বুদ্ধিতে ছিলেন খুব কড়া। পতিনবী মোহাম্মককে পরমাত্মীয় বলিয়া ক্ষমা করিবার পাত্রী খদিজা ছিলেন না। তাই প্রতিবারই সে তহবিল হোক চাই কি ভেড়ার পাল, তছরুপের দায়ে মোহাম্মককে শাস্তি পাইতে হইতো। তা সে পিঠে হালকা পাদুকা বৃষ্টি নতুবা পানাহার রহিতকরণ।
সেইরূপ একদা মোহাম্মক পত্নী খাদিজার অনুমতি ব্যতিরেকে আস্ত একপাল উট আল্লার পথে উত্সর্গ করিয়া বসিয়াছিল, যদিও তাহার কোন চাক্ষুস প্রমাণ উপস্থিত করিতে ব্যর্থ হওয়ায় খাদিজা তাহাকে শাস্তিস্বরূপ এক চদ্রকাল দিবাভাগের পানাহার রহিত করিয়া তাহাকে শাস্তি প্রদান করিয়াছিল। সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্ত তাহার নিকট পানাহার প্রেরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই, দাসীদিগের ওপরেও মোহাম্মকের নিকট না যাইতে কড়া হুকুম জারি করিয়া দিয়াছিলেন। তাই খাবার ও দাসী উভয় হইতেই মোহাম্মক বঞ্চিত হইতেছিল। দিবাভাগ ব্যতীত পানাহার ও দাসীর সমব্যভিহারে কোন নিষেধাজ্ঞা খাদিজার নির্দেশনামায় না থাকিলেও খাদিজা মহাম্মকের কর্মকাণ্ডের প্রতি কঠিন পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়াছিলেন। তাহাতে মোহাম্মক বেজায় বেকায়দায় পড়িয়াছিল।। খাদ্যে তাহার সেন্সরশিপের সহিত খাদিজাকে গোপন করিয়া কচিত্-কদাচিত্ দাসী নতুবা বগ্নি উম্ম-হানীর সাহচর্য লাভের সুযোগও রহিত হইয়া বসিল।
এমতাবস্থায় শিশ্নের ক্ষুধা চাপিয়া রাখিতে পারিলেও আরবস্থলির ক্ষুধা নিবারণ ক্রমশ কঠিন হইয়া যাইতেছিল। সূর্যাস্তের পরে ও নিদ্রাপূর্বক আহার ব্যতীত অন্যরূপ আহারের অভাবে মোহাম্মক উদরে প্রস্থরবন্ধনী লইতে বাধ্য হইয়াছিল। তথাপী তাহার ক্ষুধা নিবারণে অন্যরূপ সমস্ত উপায়ও খাদিজা রহিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। এমতাবস্থায় রাত্রি দ্বিপ্রহরে লোকচক্ষুর অন্তরালে চুপি চুপি খাদিজার হেঁসেল হইতে চৌর্যবৃত্তি ব্যতীত আর কোন গত্যন্তর ছিল না।
কিন্তু কথায় যেরূপ বলিয়া থাকে যে মোহাম্মকের বিংশ রজনী ও খাদিজার এক, সেরূপ শাস্তির বিংশত রজনী দ্বিপ্রহরে মোহাম্মক খাদিজার হস্তে রঞ্জিত হস্তে ধরা পড়িয়া গেল। তাহাতে লোক জানাজানিও কম হইলো না। ঘৃহের অভ্যন্তরে কোনরূপ মান-সম্ভ্রম কোনকালেই মোহাম্মকের ছিল না, কিন্তু মক্কা নগরীর জনগণের নিকট আল্লার একমাত্র সেবকরূপে তাহার বিশেষ পরিচিতি বজায় ছিল। তাহার ওপর মোহাম্মকের গোপন কারোবার হিসেবে একখানা অর্থের বিনিময়ে আমানত-গাহ বিশেষ খ্যাতিপ্রাপ্ত হইয়াছিল ও তাহার গুডউইল হিসাবে তাহার কপালে আলামিন খেতাবও জুটিয়া গিয়াছিল। এমতাবস্থায় চৌর্যবৃত্তির সহিত তাহার সংস্রব প্রমাণিত হইলে তাহার যত্সামান্য এক্সট্রা ইনকামও রহিত হইয়া কদাচিত্ খাদিজার আরালে ইয়ার দোস্ত লইয়া আমোদ স্ফুর্তি করিবার পথও রহিত হইয়া যাইবে। তাই তাহার আমানতগাহ এবং আলামিন উপাধি রক্ষার্থে তাহাকে সর্বসমক্ষে একখানা চাপা উপস্থিত করিতে হইলো, তাহা হইলো ঐ একচন্দ্র সময়কাল যাহাকে স্থানীয় ভাষায় রমজানুল চন্দ্র বলা হইতো আল্লাহ তাহাকে সিয়াম সাধনা করিতে নির্দেশ দিয়াছেন। আর এই সিয়াম সাধনার তরিকা হইলো রাত্রি দ্বিপ্রহরে আহার্য সাধন করিতে হইবে, তাহার পর সূর্যাস্তের পরে আবার আহার্য গ্রহনের অনুমতি মিলিবে। এই সময়ের মধ্যে কোনরূপ পানাহার ও নারীগমন নিষিদ্ধ। সেই হইতে মোহাম্মকের চৌর্যবৃত্তি ঢাকিতে প্রদত্ত চাপা অনুসরণে মোহাম্মকের বিশাল উম্মক-বাহিনী অদ্যবধি রমজানুল চন্দ্রে সেইরূপ পানাহার ও নারীগমনে বিরত থাকে এবং সূর্যাস্তের পরে ও রাত্রি দ্বিপ্রহরে খাদ্যগ্রহণে প্রবৃত্ত হয়। এই বিধানকেই আমরা পবিত্র সিয়াম সাধনা বলিয়া মানিয়া থাকি।
অন্যদিকে চৌর্যবৃত্তির শাস্তিস্বরূপ তাহার খাদ্য রহিতকরণের বিংশ দিবসের পর হতে অবশিষ্ট চন্দ্রদিবস সমূহতে খাদিজা মোহাম্মককে কক্ষে অন্তরীণ করিয়া রাখিয়াছিলেন, যাহাকে অদ্যবধি আমরা ইতিকাফ বলিয়া পালন করিয়া থাকি।
রাজীবের পাশাপাশি আরও যেসব ব্লগার শাহবাগের আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি চালিয়ে আসছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ডা. ইমরান এইচ সরকার, অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, নিজেকে নাস্তিক দাবিকারী আসিফ মহিউদ্দিন, কট্টর আওয়ামীপন্থী ব্লগার ইব্রাহিম খলিল (সবাক) প্রমুখ। এছাড়া ইংল্যান্ড প্রবাসী আওয়ামীপন্থী এক ব্লগার আরিফুর রহমানকে দেখা যায় নানা আপত্তিকর মন্তব্য করতে। তাদের মধ্যে আসিফ মহিউদ্দিন সামনের সারিতে থেকে শাহবাগের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আসিফ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে নিজেকে নাস্তিক দাবি করলেও তার যত মাথাব্যথা ইসলাম ধর্ম নিয়ে। তবে কখনও কখনও সমন্বয়ের অংশ হিসেবে অন্য একটি ধর্মেরও সমালোচনা করে থাকে সে। একটি বিশেষ ধর্মের সে অনুসারী হলেও মুসলিম নাম ধারণ করে ইসলামকে বিতর্কিত করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে গুজব রয়েছে।
নিচে শাহবাগ আন্দোলনে সক্রিয় কয়েকজন আওয়ামীপন্থী ও নাস্তিক ব্লগারের কটাক্ষপূর্ণ এরকম কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলো :
কোরআনের আয়াত ও ইসলাম নিয়ে আসিফ মহিউদ্দিনের কটাক্ষ : আসিফ মহিউদ্দিন একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। সে কমিউনিজমে বিশ্বাসী। শাহবাগে প্রথম সমাবেশে সে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী বুদ্ধিজীবী ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ওইদিন তাকে পিঠ চাপড়ে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন এ ধরনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য।
আসিফ মহিউদ্দিন (গত ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০) ব্লগে একটি পোস্ট লেখে। সেখানে ইসলাম ও কোরআনকে কটাক্ষ করে তার লেখা হলো :
‘বিসমিল্লহির রহমানির রাহিম। আউজু বিল্লা হিমিনাশ শাইতানির নাস্তিকানির নাজিম।’
গত বছরের ৫ মে পবিত্র কোরআন শরিফকে মহাপবিত্র ‘আহাম্মকোপিডিয়া’ লেখার মতোও ধৃষ্টতা দেখায় এ ব্লগার। তবে পরে তীব্র প্রতিবাদের মুখে এ পোস্টটি সে তার ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলে (এর স্ক্রিন শট এখনও আছে)।
আসিফ মহিউদ্দিন তার ফেসবুক ওয়ালে মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) নিয়ে লেখে, ‘মুহাম্মদ নিজেকে আইডল বা নিজেকেই ঈশ্বর না বলে একটি কল্পিত ঈশ্বরকে উপস্থাপন করেছেন। মানুষ যেন ব্যক্তিপূজায় আসক্ত না হয়, তাকেই যেন মানুষ ঈশ্বর বানিয়ে পূজা করতে শুরু না করে, সে ব্যাপারে তিনি কঠোর ছিলেন। তাই তার সমস্ত রচনাই তিনি আল্লার নামে চালিয়ে দিয়েছেন, এর রচয়িতা হিসেবে আল্লাকে সৃষ্টি করেছেন!’ আরেক লেখায় সে লিখেছে, ‘ধর্মান্ধ মুসলিমদের উত্তেজনার শেষ নেই। তাদের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কে মুহাম্মদের ছবি আঁকলো, কে ধর্মের সমালোচনা করলো। অথচ এতে মুহাম্মদ/আল্লার কখনই কিছু যাবে আসবে না। ব্যাপারটা এমন নয় যে, মুহাম্মদের ছবি আঁকা হলে স্বর্গে মুহাম্মদ সাহেব কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে আত্মহত্যা করছেন! আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে, তার উম্মতরা ঠিকই তাকে একজন পীরে পরিণত করেছে।’ ফেসবুকে বিশ্বনবীর একটি কাল্পনিক ছবিকে দেখিয়ে সে লেখে, এই ছবিটা মুহাম্মদের উন্মাদ উম্মতদের উদ্দেশ্যে একটা জবাব হতে পারে।’
ইসলামের বিধান পর্দা বা বোরকা নিয়ে সে লিখেছে, ‘বোরখা পরাটা সমর্থন করি না, বোরখা হিজাব মূলত আরবির বর্বর সমাজের প্রতীক। একটা সমাজে অত্যধিক বোরখার প্রাদুর্ভাব থাকা মানে হচ্ছে সেই সমাজের পুরুষগুলো সব এক একটা ধর্ষক, সেই ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সকল নারীকে একটা জেলখানা নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এইসব অজুহাতে নারীকে যুগ যুগ ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে, কখনও ঘরের ভেতরে, আবার কখনও বোরখা নামক চলমান জেলখানার ভেতরে।’
ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য দান নিয়েও কটাক্ষ করে সে লিখেছে, ‘ধার্মিকদের মাথায় স্বার্থচিন্তা থাকে যে, এই উপকারে সে পরকালে হুর পাবে। এমনকি তারা কোন দরিদ্র, দুস্থ, পঙ্গু মানুষকে দেখলেও বেশিরভাগ সময়ই স্বার্থপরের মতো নিজের কথাই ভাবে। আর যদি ওই পঙ্গু লোকটির কথা ভাবেও, তাতেও তাদের মাথায় থাকে স্বর্গে হুরী সঙ্গমের অশ্লীল চিন্তা।’ তার মতে, ‘জনগণের সুখ ও অর্থনৈতিক সাম্যের জন্য সর্বপ্রথম যা করতে হবে, তা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের উচ্ছেদ।’
তবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে এমন অবমাননামূলক ও উস্কানিমূলক পোস্ট দিলেও আসিফ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আরিফুর রহমান (হুঙ্কারসহ নানা নামে লেখে) লেখে, ‘আমি মনে করি আল্লা বিষয়টা মুহাম্মদের একটা বুজরুকি। ছিটগ্রস্ত মুহাম্মদ তার হ্যালুসিনেশনের সময় মনে করতো জিব্রাইল আইছে, তাই আল্লার কাল্পনিক কাহিনী বানিয়ে ধর্ম তৈরি করেছে। নাম দিয়েছে ইজলাম। এই হলো আল্লা বিষয়ে আসল কাহিনী।’ হিজাব নিয়ে আরিফ লিখেছে, ‘হিজাব হলো ছৌদি নোংরামির চূড়ান্ত... কুত্তাদের কালো কাপড়ের কালচার। একে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়াটাই একটা বড় রকমের গুনাহ...!! হিজাবের বিরুদ্ধে পোস্টতো আসবই। ইসলামী পুরুষতন্ত্রের ছাগুরা।’
ইব্রাহিম খলিল (সবাক) : ইব্রাহিম খলিল নামের এক প্রতারক সবাক নামে লিখেছে, ‘মির্জা সাথীর প্রোফাইট পিকচার সুন্দর। নিজের অজান্তেই লুল ফালাইতে ইচ্ছা কর্তাছে...’
আলআওয়াম আল আনায়াম (আওয়ামী লীগ চতুষ্পদ জানোয়ারের ন্যায়)। সুরা গো.আ, আয়াত-৪২০।
ধর্ম নিয়ে সবাক লিখেছে, ‘শুয়রের বাচ্চারা বানাইছে একখান বালের ধর্ম। বৌ... (এতটা অশ্লীল শব্দ যে উল্লেখ করা সম্ভব হলো না) কিছু কথা কইছে, আর... ফালানোর পর কিছু কথা বলে। দুইটাই শালাগো ধর্তব্য হইছে। বিশ্বাস হালকা কইরা স্বার্থবন্দী কথাগুলান যাচাই কইরা আবার ধার্মিকরাই বাহির কইরলো বিরাট ক্যারফা। তারপর ধর্মের গোয়া বাইর হইছে লস্করই-তাইয়্যিবাল, বাল কায়েদা, বালকাতুল জিহাদ, সোগাবুত হাহরীর। ধর্মরেও... ধর্মের সোগা দিয়া পয়দা হওয়া বর্বরগুলানরেও... ।’
শুধু তাই নয়, শাহবাগের আন্দোলনকারীদের অনেকের ফেসবুকে ইসলামকে নিয়ে নানা কটূক্তিকর স্ট্যাটাস বেশ দেখা যাচ্ছে। ঠিক এমনি আশরাফুল ইসলাম রাতুল নামে এক আন্দোলনকারী কিছুদিন আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছে, ‘সাহস থাকলে একবার শাহাবাগ আয় রাজাকারের চুদারা, তোদের মুহাম্মদ (স.) আর নিজামী বাপকে একে অন্যের পোদের ভেতর ঢুকাবো।’ (নাউজুবিল্লাহ্)
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে রীতিমত তোলপাড় চলছে। উস্কানিমূলক ও চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ ও ইসলাম ধর্মের নানা দিক নিয়ে যথাসাধ্য পোস্ট দিচ্ছেন ইসলামপন্থী ব্লগাররা। তারা নাস্তিকদের দেয়া নানা যুক্তিও খণ্ডনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে ফেসবুক ব্যবহারকারী ও ব্লগারদের এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে ইসলামপ্রিয় মুসলিমদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানানো হয়।
 
Last edited by a moderator:
@kobiraaz ;). Amardesh had BNP's backing. You can't publish such a report like this against the mainstream media if you don't have a good backing. I am expecting a statement soon ;)
 
Last edited by a moderator:
Looks like those Shahbagh blogging /fascist crowd desperately trying to paint picture that Thaha baba did not make such insulting and attacking comments on Islam. This deception attaempt by these Shahbagh bloggers /fascist are trying to hide who these people really are and their inner hate against Islam as religion.
 
Ahh well looks like it's already published.
 
**deleted**

As the PM feature is not working tell
me a better way, I might send you the actual ID.

there is no way.... xept fb or mail id.....

er 2ta fb id thakteo pare.... 1 bairer vodro mukhosh for people like you and arekta thaba baabaa ( claw father?) for devils like him..

btw i heard taar wife taar shathe r thakto na.... Razib taar bhai er shathe alada thakto.... Mrito Raziber haat e naki lomba chul pawa gieche.........
 
Just as Islamist and Army killed BD's father of nation. RIP to the great warrior who fought tirelessly to bring to justice Jamati Thugs.
 
Status
Not open for further replies.
Back
Top Bottom