asad71
PROFESSIONAL
- Joined
- May 24, 2011
- Messages
- 6,863
- Reaction score
- 4
- Country
- Location
বিডিটুডে.নেট:বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নৌ ঘাঁটি নির্মাণ করবে ভারত
30 Sep, 2014
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষ করে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তাররোধে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় আরও একটি নৌ ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ভারত। ভারতে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় এই ঘাঁটিটি নির্মাণ করা হবে। আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী প্রতিরক্ষা ম্যাগাজিন জেনস ডিফেন্স উইকলি সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সেনা শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশে এবং চীনের ক্রমাগত উপস্থিতি ঠেকাতেই বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় ভারত ওই নৌ ঘাঁটি নির্মাণ করবে। আর এই নির্মাণ স্থাপনাটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ভরসা’। এ নামে পরিচিত ওই পুরো নৌঘাঁটি স্থাপনাটি নির্মিত হবে ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড হেডকোয়ার্টার ভিসাকাপাত্তানাম থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে রামবিলি এলাকায়। আর এখানে একটি নৌ ডকইয়ার্ডও রয়েছে। আগামী ২০২১-২২ সাল নাগাদ এ নৌঘাঁটি স্থাপন সম্পন্ন হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ নৌঘাঁটিতে থাকবে ৪০৬৪২ টন ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ ‘ভিক্রান্ত’। আর নতুন একটি যুদ্ধ জাহাজ এখন কোচিন শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন রয়েছে - যা ২০১৮ সাল নাগাদ ব্যবহারযোগ্য হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই নৌঘাঁটিতে ৫ থেকে ৬টি পারমাণবিক ব্যালেস্টিক মিসাইল সম্পন্ন সাবমেরিন - যা পুরো ভারত মহাসাগর এলাকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কাছাকাছি নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ভারত মহাসাগরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত ইতোমধ্যে তার দ্বিতীয় বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস ভিক্রামাদিত্য রাশিয়া থেকে কিনেছে ২৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে। এছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, চীনও তার নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে যথেষ্ট মাত্রায়।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে গত কয়েক বছর ধরে। এ লক্ষ্যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সাথে যৌথ মহড়ায়ও অংশ নিয়েছে। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে চীন সাগর পর্যন্ত ভারত তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়। চীনকে মাথায় রেখেই এসব সমর-সজ্জা চলছে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। আর এ লক্ষ্যেই ভারত মনে করছে, নৌ শক্তি বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়ন প্রয়োজন। ভারত মনে করছে, চীন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করে এ এলাকায় একটি স্ট্রিং অব পার্ল বা মুক্তার মালা সৃষ্টি করতে চায়। চীন ইতোমধ্যে পাকিস্তানের গোয়াদার এবং শ্রীলংকা হাম্মামতোতায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করেছে। মিয়ানমারে চীন একটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণের চেষ্টা চালালেও তাতে সফল হতে পারেনি। কারণ যে সমুদ্র বন্দরটি পুনঃনির্মাণের চেষ্টা করছিল চীন তা কৌশলে ভারত বাগিয়ে নিয়েছে। চীন সফল হতে পারেনি চট্টগ্রামের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে। চুক্তি সম্পাদনে শেষ পর্যায়ে এসে বাংলাদেশের শর্তের কারণে চীন এ থেকে দূরে সরে যায়।
ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, ভারত মহাসাগরের উপরে চীনের প্রভাব বেড়ে গেছে বহুলাংশে। এ কারণে পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিমে হরমুজ প্রণালী পর্যন্ত ভারতের নৌ উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক ভারত সফর এবং এ সময়ে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা ওই অঞ্চলে ভারতের শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ভারত মহাসাগরে চীন বা ভারত যে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইছে তাই নয়, এখানে যুক্তরাষ্ট্রেরও নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও চীনকে মাথায় রেখে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে পুরো ভারত মহাসাগর এলাকায় তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। এ কারণে কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক মিত্র।
সব মিলিয়ে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় নৌঘাঁটি নির্মাণ শুধু যে ওই সব দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ তাই নয়, এ অঞ্চলের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।।
উৎসঃ আমাদের বুধবার
30 Sep, 2014
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষ করে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তাররোধে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় আরও একটি নৌ ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ভারত। ভারতে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় এই ঘাঁটিটি নির্মাণ করা হবে। আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী প্রতিরক্ষা ম্যাগাজিন জেনস ডিফেন্স উইকলি সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সেনা শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশে এবং চীনের ক্রমাগত উপস্থিতি ঠেকাতেই বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় ভারত ওই নৌ ঘাঁটি নির্মাণ করবে। আর এই নির্মাণ স্থাপনাটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ভরসা’। এ নামে পরিচিত ওই পুরো নৌঘাঁটি স্থাপনাটি নির্মিত হবে ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড হেডকোয়ার্টার ভিসাকাপাত্তানাম থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে রামবিলি এলাকায়। আর এখানে একটি নৌ ডকইয়ার্ডও রয়েছে। আগামী ২০২১-২২ সাল নাগাদ এ নৌঘাঁটি স্থাপন সম্পন্ন হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ নৌঘাঁটিতে থাকবে ৪০৬৪২ টন ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ ‘ভিক্রান্ত’। আর নতুন একটি যুদ্ধ জাহাজ এখন কোচিন শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন রয়েছে - যা ২০১৮ সাল নাগাদ ব্যবহারযোগ্য হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই নৌঘাঁটিতে ৫ থেকে ৬টি পারমাণবিক ব্যালেস্টিক মিসাইল সম্পন্ন সাবমেরিন - যা পুরো ভারত মহাসাগর এলাকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কাছাকাছি নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ভারত মহাসাগরে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত ইতোমধ্যে তার দ্বিতীয় বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস ভিক্রামাদিত্য রাশিয়া থেকে কিনেছে ২৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে। এছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, চীনও তার নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে যথেষ্ট মাত্রায়।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে গত কয়েক বছর ধরে। এ লক্ষ্যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সাথে যৌথ মহড়ায়ও অংশ নিয়েছে। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে চীন সাগর পর্যন্ত ভারত তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়। চীনকে মাথায় রেখেই এসব সমর-সজ্জা চলছে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। আর এ লক্ষ্যেই ভারত মনে করছে, নৌ শক্তি বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়ন প্রয়োজন। ভারত মনে করছে, চীন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করে এ এলাকায় একটি স্ট্রিং অব পার্ল বা মুক্তার মালা সৃষ্টি করতে চায়। চীন ইতোমধ্যে পাকিস্তানের গোয়াদার এবং শ্রীলংকা হাম্মামতোতায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করেছে। মিয়ানমারে চীন একটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণের চেষ্টা চালালেও তাতে সফল হতে পারেনি। কারণ যে সমুদ্র বন্দরটি পুনঃনির্মাণের চেষ্টা করছিল চীন তা কৌশলে ভারত বাগিয়ে নিয়েছে। চীন সফল হতে পারেনি চট্টগ্রামের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে। চুক্তি সম্পাদনে শেষ পর্যায়ে এসে বাংলাদেশের শর্তের কারণে চীন এ থেকে দূরে সরে যায়।
ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, ভারত মহাসাগরের উপরে চীনের প্রভাব বেড়ে গেছে বহুলাংশে। এ কারণে পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিমে হরমুজ প্রণালী পর্যন্ত ভারতের নৌ উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক ভারত সফর এবং এ সময়ে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা ওই অঞ্চলে ভারতের শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ভারত মহাসাগরে চীন বা ভারত যে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইছে তাই নয়, এখানে যুক্তরাষ্ট্রেরও নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও চীনকে মাথায় রেখে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে পুরো ভারত মহাসাগর এলাকায় তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। এ কারণে কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক মিত্র।
সব মিলিয়ে বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় নৌঘাঁটি নির্মাণ শুধু যে ওই সব দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ তাই নয়, এ অঞ্চলের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।।
উৎসঃ আমাদের বুধবার